নিজস্ব প্রতিনিধি: সঙ্গীত জগতের পর এবার ক্রীড়া জগতে নক্ষত্রপতন।
চলে গেলেন অতীত দিনের দিকপাল ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। বিশিষ্ট এই ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিশিষ্ট এই ফুটবলারের প্রয়াণে কলকাতা ক্রীড়া জগৎ শোকে মূহ্যমান। গত জানুয়ারিতে বাংলার ফুটবল জগত হারিয়েছিল সুভাষ ভৌমিককে। এবার হারিয়ে গেলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত।
সুরজিৎ সেনগুপ্তের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বিশিষ্ট এই ফুটবলারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আজ বিশিষ্ট এক ফুটবল খেলোয়াড়কে আমরা হারিয়ে ফেললাম। ফুটবলের প্রতি তাঁর ভালোবাসা চিরকাল স্মরণে থাকবে। রাজ্য ছাড়া জাতীয়স্তরেও তাঁর পারফরম্যান্স নজরকাড়া। আদ্যপান্ত একজন সুভদ্র। তাঁকে দেওয়া হয়েছিল বাংলার গৌরব সম্মান। উনি আমাদের হৃদয়ে থাকবেন।’
সুরজিৎ সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৫১-য়ের ৩০ অগাস্ট। ফুটবল জীবন শুরু খিদিরপুর ক্লাবের হাত ধরে। শৈলেন মান্নার হাত ধরে কলকাতার ফুটবল মাঠে পদার্পণ। সেটা ১৯৬৮ সালের কথা। প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগান। ১৯৭৩ সালে ক্লাবের হয়ে সই করেন। ছিলেন টানা দু বছর। লাল-হলুদ শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে কিছুদিন মহমেডান ক্লাবেও খেলেছিলেন। লাল হলুদ শিবিরে ছিলেন টানা ছ বছর। লাল-হলুদ শিবিরের অধিনায়কও হয়েছিলেন। দেশের হয়ে খেলেছেন ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৬ সালে সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার অধিনায়ক হন। ১৯৭৫-য়ের শিল্ড ফাইনালে প্রথম গোল। মহমেডানে সাময়িক সময়ের জন্য থাকলেও দলকে ট্রফি এনে দিয়েছিলেন। ময়দানে পা রাখার পর থেকে অবসর নেওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর পারফরম্য়ান্স ছিল তারিফ করার মতো। বাংলা ফুটবলকে তিনি এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে নিয়ে গিয়েছিলেন। এবার নিজের জীবনকে নিয়ে গেলেন অসীম উচ্চতায়, যে উচ্চতায় তাঁকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন সুরিজৎ সেনগুপ্তের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড তৈরির সিদ্ধান্ত সরকারের