নিজস্ব প্রতিনিধি, দোহা: এক দল গত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। আর এক দল ৫৬ বছর আগে চ্যাম্পিয়ানের তকমা পেয়েছিল। এক দলের কাছে লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা আর অন্য দলের লক্ষ্য ৫৬ বছরের খরা কাটানো। আর সেই দুই লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আজ শনিবার রাত সাড়ে বারোটায় আল বাইত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের দুই সেরা শক্তিশালী দল ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। মরণ-বাঁচনের ম্যাচে দুই দলই নিজেদের সর্ব শক্তি উজাড় করে দিতে চাইছে।
চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। কোনও ম্যাচেই হারতে হয়নি। সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন হ্যারি কেইনরা। রক্ষণও যথেষ্ট দুর্ভেদ্য। তিন ম্যাচে কোনও গোল হজম করেননি কাইল ওয়াকাররা। তবুও আজকের ম্যাচে বিপক্ষে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে যে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন তা ভালই জানেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। তাই তাঁকে আটকানোর পাশাপাশি নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যে জয় তুলে নেওয়ার রণকৌশল সাজিয়েছেন তিনি। অধিনায়ক হ্যারি কেইন, মাকাস রাশফোর্ড, ফিল ফোডেন, বুকায়া সাকাদের দিখে তাকিয়ে তিনি। দলের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগ দিয়েছেন রাহিম স্টার্লিং। দ্রুতগতির এই উইঙ্গারের উপরেও বড় ভরসা ইংল্যাড কোচের।
অন্যদিকে শুরুটা ভাল হলেও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে তিউনিশিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ানদের। তবে আতীতের দিকে ফিরে তাকাতে রাজি নন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেঁশ। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে পাঁচ গোল করা মহাতারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে তাঁর তুরুপের তাস। অলিভিয়ের জিরু, উসমান দেম্বলে আর আঁতোয়া গ্রিজম্যানরা আজকের ম্যাচেও জ্বলে উঠবেন বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী। শুরু থেকে মাঝমাঠের দখল নিয়ে ইংল্যান্ডকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর বাজি আর্দ্রিঁয়া রাবিরো। দুই দলের খেলার দরন যেহেতু একই তাই আজকের ম্যাচ রোমাঞ্চকর হবে বলে আশা করছেন ফুটবল পণ্ডিতরা।