নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বকাপে অব্যাহত বাংলাদেশের জঘন্য পারফরম্যান্স। মঙ্গলবার ইডেনে পাকিস্তানের কাছে ফের অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করলেন টাইগার ব্যাটাররা। শাহিন আফ্রিদি ও মহম্মদ ওয়াসিমের তোপে ৪৫.১ ওভারে মাত্র ২০৪ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। একমাত্র মাহমুদুল্লাহ বাদে আর কোনও ব্যাটারই পাকিস্তান বোলারদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠতে পারেনি।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। লক্ষ্য ছিল, প্রথমে ব্যাট করে বড় স্কোর দাঁড় করানো। সেই লক্ষ্যে মাহেদী হাসানের জায়গায় দলে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম ওভারেই জোর ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদির ভিতরের দিকে ঢোকা বল লেগ বিফোর হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন চলতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে অযোগ্য ওপেনারের তকমা পাওয়া তানজিদ হাসান। আফ্রিদির দ্বিতীয় ওভারে উসামা মিরের দুরন্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)। ষষ্ঠ ওভারে ফিরে যান বাংলাদেশের ডিপেন্ডবল ব্যাটার হিসাবে পরিচিত মুশফিকুর রহিম (৫)। ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে টাইগাররা। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন লিটন দাস ও মাহমুদুল্লাহ। ৭৯ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ভাল খেলতে খেলতে ইফতিখার আমেদের বলে জঘন্য শট নিয়ে আউট হয়ে যান লিটন দাস (৪৫)।
চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল মাহমুদুল্লাহ ও সাকিব আল হাসান পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালিয়েও ব্যার্থ হন। নিজের অর্ধশতরান করার শাহিন আফ্রিদির বলের লাইন মিস করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ (৫৬)। যাকে এদিন দলে জামাই আদরে ফেরানো হয়েছিল সেই তাওহিদ হৃদয় মাত্র ৭ রান করে ফেরেন। তাঁকে ফেরান উসমা মির। দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার একটা চেষ্টা চালিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক। মেহেদি হাসানের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়ার পরে হ্যারিস রউফের বলে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো শট খেলে ব্যাক্তিগত ৪৭ রানে সাজঘরের দিকে হাঁটা দেন সাকিব। ৪৪ তম ওভারে বাংলাদেশকে জোড়া ধাক্কা দেন মহম্মদ ওয়াসিম (জুনিয়র)। প্রথম বলে ফেরান মেহেদিকে (২৫)। এক বল বাদে তাসকিন আমেদকে (৬) সাজঘরের পথ দেখান। দলীয় স্কোর বোর্ডে তিন রান যোগ হতে না হতেই আউট হয়ে যান মুস্তাফিজুর রহমান।