এই মুহূর্তে




যুবভারতীতে শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

নিজস্ব প্রতিনিধি: শতাব্দী প্রাচীন আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি দুই চির শত্রু ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। ইতিমধ্যেই প্রথমার্ধের খেলা শেষ। খেলার ফলাফল ১-১। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে গোল করে লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন হামিদ। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে সমতা ফেরান সবুজ মেরুনের আপু্ইয়া।

শনিবার ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। বিপিন সিংহ পর পর দু’বার মোহনবাগান রক্ষণে হানা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল ঠিকমতো রাখতে না পারায় গোল হয়নি। চার মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণ থেকে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ভেদের চেষ্টা চালিয়েছিল মোহনবাগানের খেলোয়াড়েরা। আট মিনিটের মাথায় সাহালের থেকে পাস পেয়ে ম্যাকলারেন এবং কামিংস একে অপরের মধ্যে পাস খেলে লাল-হলুদের বক্সে হানা দেন। ম্যাকলারেনের পাস বাঁচিয়ে দিলেন প্রভসুখন। ১১ মিনিটে আপুইয়ার দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য বেরিয়ে যায়। মোহনবাগানের পর পর হানায় খানিকটা আগোছালো দেখাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ভাগকে। ১১ মিনিটের মাথায় আচমকা বক্সের বাইরে বল পেয়ে নিচু জোরালো শট রেখেছিলেন মহেশ। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন বাগান গোলরক্ষক বিশাল। এর পর বলের দখল নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। ২৫ মিনিটে ডান দিক থেকে আপুইয়ার পাস পেয়েছিলেন সাহাল। সামনে একা ছিলেন প্রভসুখন। যদিও বল ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষকের মাথার উপর থেকে জালে গলানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

৩২ মিনিটে বক্সের মধ্যে ম্যাকলারেনকে ফেলে দেন ইস্টবেঙ্গলের আনোয়ার। রেফারি বেঙ্কটেশ সরাসরি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। যদিও আনোয়ারের অপরাধ পেনাল্টির মতো গুরুতর ছিল না বলে মনে করেন মাঠে থাকা দর্শকরা। তবে পড়ে পাওয়া ওই পেনাল্টি কাজে লাগাতে পারেননি মোহনবাগানের কামিংস। বারের অনেকটা উপর দিয়ে উড়িয়ে দিলেন বল। খেলার গতির খানিকটা বিপরীতে গিয়ে ৩৭ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় ইস্টবেঙ্গল। বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে একাই উঠেছিলেন মহেশ। বিপক্ষের নাগাল এড়িয়ে বক্সে নিচু পাস দিয়েছিলেন। মোহনবাগানের দুই ডিফেন্ডারে তাঁর পাস আটকাতে পারলেন না। ফাঁকায় থাকা হামিদ বল জালে জড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিলেন। ৪২ মিনিটের মাথায় মাঝ মাঠ থেকে রশিদ পাস দিয়েছিলেন মহেশকে। তিনি পাস দেন হামিদকে। সামান্য ঘুরে বাঁ পায়ে নিখুঁত শট মেরেছিলেন হামিদ। বল পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। এর দু’মিনিট বাদে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ইস্টবেঙ্গলের বিপিন। বক্সের মধ্যে মহেশ বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন বিপিনকে। চলতি বলে শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ের দু’মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় সবুজ মেরুন শিবির। ডান দিক থেকে সাহালের ভাসানো বল রিসিভ করেছিলেন লিস্টন। সামনে থাকা আপুইয়ার শট বারে লেগে মাটিতে ড্রপ খেয়ে বেরিয়ে এল। তবে লাইন্সম্যান ইঙ্গিত করলেন, বল গোললাইন পেরিয়েছে। রিপ্লে-তেও তাই দেখা যায়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লাল-হলুদকে হারিয়ে ২২ বছর পর শিল্ড সবুজ-মেরুনের

‘২০২৭ সালের বিশ্বকাপে খেলব’, খুদে ভক্তকে ওয়াদা রোহিত শর্মার

শনি সন্ধ্যায় শিল্ড ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান, জয়ের জন্য মরিয়া দু’পক্ষ

পাক বিমান হামলায় নিহত ৩ আফগান ক্রিকেটার, প্রতিবাদে ত্রিদেশীয় সিরিজে দল প্রত্যাহার

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশে ঢুকে পড়ল জার্মানি, এক ধাপ এগোল আর্জেন্টিনাও

শনিতে শিল্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি, সমর্থকদের গ্যালারি ভরানোর আর্জি বাগান কোচের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ