নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় টুর্নামেন্ট খেলতে যাবে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনটি টেস্ট, তিনটি একদিনের ম্যাচ এবং চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ভারতের। কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই করোনার এই নতুন প্রজাতির জন্ম। তাই ভারতের ক্রিকেটাররা ঝুঁকি নিতে চাইছে না। সিদ্ধান্ত আটকে রয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের হাতে। এই মুহূর্তে কিছুই ঠিক হয় নি বলেই জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
যদিও খেলোয়াড়দের চিন্তার কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান লাউসান নাইডু। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৮ তারিখ ভারতীয় ক্রিকেটারদের চার্টাড বিমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার কথা। তাই প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বাস্থ্যের চিন্তা রয়েছে আমাদের। দুটি আলাদা হোটেল বরাদ্দ করা হয়েছে দুই দলের জন্য। শুধুমাত্র জোহানাসবার্গ ও সেঞ্চুরিয়ানের টেস্টে একই হোটেলে রাখা হয়েছে বায়ো বাবলের পরিষেবার জন্য। অতি উচ্চতা সম্পন্ন স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তবে সবটাই নির্ভর করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপর। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে জারি রয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ড জানিয়েছে প্রত্যেক খেলাতেই দর্শক সংখ্যা ২০০০ নামানো হয়েছে, প্রত্যেকের করোনার টিকা নেওয়া হয়েছে কিনা পরীক্ষা করা হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, চলতি বছরেই পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এদেশে খেলে গিয়েছে, তাই আমরা জানি কীভাবে নিরাপত্তা দিতে হবে। তবে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যই আগে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, ‘ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য বরাবরই বোর্ডের প্রথম চিন্তা। তার জন্য যা করার দরকার হবে সেটাই করব। কী সিদ্ধান্ত হতে চলেছে সেটা আগামী কয়েক দিনেই বোঝা যাবে। এই মুহূর্তে সফর বাতিলের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এখনও আমাদের হাতে অনেক সময় রয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর থেকে প্রথম টেস্ট শুরু। ফলে চিন্তার কোনও কারণ এখনও নেই।’