নিজস্ব প্রতিনিধি, মোহালি: আইপিএলে ফের এক অবিশ্বাস্য ম্যাচের সাক্ষী থাকল দর্শকরা। বৃহস্পতিবার মোহালিতে আশুতোষ শর্মা নামে এক তরুণ ব্যাটার ব্যাট হাতে ধ্বংসলীলা চালিয়ে একাই হারিয়ে দিচ্ছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। কিন্তু পঞ্জাবের শেষের দিকের ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় জয় অধরাই থেকে গেল। ৯ রানে জিতে গেলেন হার্দিক পাণ্ড্যরা।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মার দাপটে সাত উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তুলেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জয়ের জন্য ১৯৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেই চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল পঞ্জাব কিংস। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে টপ আর্ডার ব্যাটিং। ইনিংসের তৃতীয় বলেই সাজঘরে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন প্রভসিমরান সিং। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে জোড়া ধাক্কা দেন স্পিডস্টার যশপ্রীত বুমরা। চতুর্থ বলে আউট করেন রিলি রোসোউকে (১)। শেষ বলে ফেরান পঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারেনকে (৬)। পরের ওভারে গেরাল্ড কোয়েৎজকে ফিরিয়ে দেন লিয়াম লিভিংস্টোনকে। মাত্র ১৪ রানেই চার উইকেট খুঁইয়ে বসে পঞ্জাব। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন হয়তো ৫০ রানের গণ্ডিই পেরোতে পারবেন না কারেনের দল। কিন্তু হরপ্রীত সিং ও শশাঙ্ক সিং জুটি বেঁধে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সপ্তম ওভারে বল করতে এসে শ্রেয়াস গোপাল জুটি ভাঙেন। ফিরিয়ে দেন হরপ্রীত সিংকে (১৩)।
চলতি আইপিএলে একাধিক ম্যাচে পঞ্জাবের পরিত্রাতা হিসাবে আবির্ভূত হওয়া শশাঙ্ক একা কুম্ভ হয়ে লড়াই করতে থাকেন। মাঝে জিতেশ শর্মা (৯) দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আকাশ মেধাওয়ালের বল মারতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। এর পরে সপ্তম উইকেটে জুটি বেঁধে শশাঙ্ক ও আশুতোষ শর্মা মুম্বইয়ের জয়ের পথে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান। দুজনে জুটি বেঁধে ৩৪ রান যোগ করেন। ম্যাচের রং ফের বদলাতে শুরু করে। ১৩তম ওভারে এসে শশাঙ্ককে (২৫ বলে ৪১) ফিরিয়ে দেন বুমরা। কিন্তু তাতে খুব একটা সমস্যায় পড়েনি পঞ্জাব। কেননা আশুতোষ শর্মা খুনে মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেন। মুম্বইয়ের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে থাকেন। মাত্র ২৩ বলে ২টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। আর তাঁর ওই মারকুটে ব্যাটিংয়ের দৌলতে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন পঞ্জাবের সমর্থকরা। ১৮তম ওভারে বল করতে এসে আশুতোষের ধ্বংসলীলা থামান গেরাল্ড কোয়েৎজে। ২৮ বলে ৬১ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন পঞ্জাবের তরুণ ব্যাটার। এর পরে ফিরে যান হরপ্রীত ব্রারও (১৯ বলে ২১)। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পঞ্জাবের দরকার ছিল ১২ রান। প্রথম বল ছিল ওয়াইড। দ্বিতীয় বলে অকারণে রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে যান কাগিসো রাবাডা। ফলে ১৯.১ ওভারে ১৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় পঞ্জাব।