নিজস্ব প্রতিনিধি: বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা বাড়ছে তিনি আগামী বছর কোন দলের হয়ে মাঠে নামবেন। কেননা বর্তমান ক্লাব পিএসজির সঙ্গে তাঁর চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী মাসের ৩০ জুন। কাজেই তাঁকে দলে নিতে ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় ক্লাবগুলি। সেই তালিকায় রয়েছে তাঁর পুরনো ক্লাব বার্সেলোনাও। তিনি আর কেউ নন, আর্জেন্টিনাকে সদ্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম নায়ক লিওনেল মেসি। কিন্তু তারই মাঝে পিএসজি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে দিলেন মেসির সঙ্গে আর চুক্তি দীর্ঘায়িত করতে রাজি নয় পিএসজি কর্তৃপক্ষ। অর্থ্যাৎ মেসি-বনাম পিএসিজ সম্পর্ক এখানেই ইতি ঘটতে চলেছে।
উল্লেখ্য, মেসির সঙ্গে পিএসজি কর্তাদের বনিবনা হচ্ছিল না তার খবর অনেকদিন ধরেই ছড়িয়েছিল ফুটবলের ময়দানে। বুধবার তা ফের প্রকাশ্যে চলে এল একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। গত রবিবার পিএসজি একটি ম্যাচে পরাজিত হয় লরিয়েন্টের কাছে। সেই ম্যাচে হারের পর পরই মেসি সপরিবারে পাড়ি দেন সৌদি আরবের উদ্দেশে। এবং সেখানে গিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কাটানো তাঁদের সেই আনন্দের ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। অবশ্য এর পিছনে রয়েছে সৌদির পর্যটনমন্ত্রী। তিনিই মেসির ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়েই মেসির ওপর তীব্র অসন্তুষ্ট হন পিএসজি কর্তারা।
তাঁরা আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে তাঁদের অনুমতি না নিয়ে কেন তিনি সৌদিতে সফর করলেন তার যথাযোগ্য কারণ দর্শাতে বলেন, এবং এলএম টেনকে দু সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ডও করা হয়। এবং তারপরই বুধবার দুপুরে পিএসজি-এর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় আর্জেন্টিনার অধিনায়কের সঙ্গে আর চুক্তি বাড়াতে রাজি নয় প্যারিসের ক্লাবটি।
আরও জানতে পড়ুন: রাজস্থানের বিরুদ্ধে জয়ের ধারা পাঞ্জাব-ম্যাচেও বজায় রাখতে মরিয়া রোহিতরা
অবশ্য মেসি ভক্তদের মতে, মেসি সৌদির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। কাজেই সেই উপলক্ষে মেসি সৌদিতে গিয়েছিলেন তাঁর সাম্মানিকটি আনার জন্যই। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।
তবে মেসিকে ব্লাগানার প্রেসিডেন্ট মেসিকে তাঁদের দলে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা ইতিমধ্যেই মেসির এজেন্ট তাঁর বাবা। এবং তাঁর সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলা শুরু করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে বার্সাও দলে পেতে চাইছে তাঁর পুরনো সদস্যকে। কেননা এই ক্লাবেই মাত্র ১৩ বছরে মেসি যোগ দিয়েছিলেন ক্যাম্প ন্যু-তে। অবশ্য তারপর ২০২০ সালের পর তাঁকে আর্থিক কারণে দলে রাখতে পারেননি বার্সার কর্তারা। ফের এবার তাঁকে দলে পেতে মরিয়া হয়েছেন তাঁরাও।
এখন দেখা যাক মেসির পরবর্তী ঠিকানা কোথায় হয়। তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।