আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শেষে কিনা ভারত-পাক হাইভোল্টেজ ম্যাচে তেরঙ্গা হাতে নিয়ে ওড়ালেন শাহিদ আফ্রিদি কন্যা আশা আফ্রিদি? শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এটাই হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই দৃশ্য। মেয়ের হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা দেখে বাবার লজ্জায় বাবার মাথা নীচু।
শাহিদ আফ্রিদি পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, মেয়ের হাতে তেরঙ্গা থাকার রহস্য। জানিয়েছেন, হাইভোল্টেজ ম্যাচের দিন দর্শকদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই ছিলেন ভারতীয়। ফলে, স্টেডিয়ামে যারাই সেদিন এসেছিলেন, তাদের হাতে ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার সেদিন টানাটানি ছিল। তাই, মেয়ে খেলার আনন্দে ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে তুলে নেয়।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাক ক্রিকেটার বলেন – স্ত্রীর কাছে শুনেছি, ভারত-পাক ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামে দর্শকদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাশং ছিল পাকিস্তানের সমর্থক। ফলে, স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা ছিলই না। সবার হাতে পতাকা দেখে কিছুটা নিরাশ ছিল আমার মেয়ে। হাতের কাছে পেয়েছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। আনন্দে আত্মহারা হয়ে মেয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়ে নাড়াতে থাকে। ওর সেই হাসিখুশির মুহূর্তের ভিডিয়ো আমি দেখেছি। দ্বিধায় ছিলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করব কি না। ওর কাছে মুহূর্তটি আনন্দের হলেও আমার কাছে কিছুটা অস্বস্তিকর তো বটেই। পরে মনে হল, ওটাকে অতটা তলিয়ে না দেখাই ভালো।
উল্লেখ করা যেতে পারে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওই হাইভোল্টেজ ম্যাচে অর্শদীপের হাত থেকে ক্যাচ ফস্কে যাওয়ায় ম্যাচের অভিমুখ বদলে যায়।