নিজস্ব প্রতিনিধি: সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপানের পরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছল জুনিয়র টাইগাররা। বুধবার দুবাইয়ের আইসিসি আকাদেমি ময়দানে প্রথমে ব্যাট করে ২০০ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৪০.৫ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জিতেছে বাংলাদেশ। আর ওই জয়ের প্রধান কাণ্ডারী ছিলেন টাইগারদের ওপেনার আশিকুর রহমান। তাঁর অপরাজিত শতরানের সুবাদেই হেসেখেলে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবেন মাহফুজুর রহমানরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুন করেছিল শ্রীলঙ্কা। পুলিন্দু পেরেরা ও রবিশান ডি সিলভা উদ্বোধনী জুটিতে ৩৭ রান যোগ করেন। নবম ওভারে এসে পেরেরাকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মারুফ মৃধা। এর পরে লঙ্কান অধিনায়ক সিনেত ডি সিলভার সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়েন। দুজনকেই সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান। ৩৭ বলে ২১ রান করেন রবিশান। জয়াবর্ধনের অবদান ২৫। ২৯তম ওভারে লঙ্কা শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন ওয়াসি সিদ্দিকি। পর পর দুই বলে ফিরিয়ে দেন কালুপাহানা (৩৯ বলে ২০ রান) ও মালশা থারুপতিকে। ক্রিজে থিতু হয়ে যাওয়া রুসান্দা গামেগেকে (৪৬ বলে ২৪ রান) সাজঘরে ফেরান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০০ রান তুলতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা।
জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। প্রথম ওভারেই ব্যক্তিগত শূন্যরানে সাজঘরে ফেরেন জিশান আলম। এর পরে আশিকুর রহমানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে সেই ধাক্কা সামলান রিজওয়ান চৌধুরী। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়েন দুজনে। রিজওয়ানকে (৩২) সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দিন বিশ্ব লাহুরু। এর পরে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা আরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান আশিকুর। ৩১তম ওভারে বল করতে এসে আরিফুলকে (১৮) আউট করে ৫৭ রানের জুটি ভেঙে দেন মালসা থারুপাথি। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে এসে চালিয়ে খেলতে থাকেন আহরার আমিন। ২৩ বলে ২৩ রান করে তিনি যখন সাজঘরে ফেরেন ততক্ষণে জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দল। শেষ পর্যন্ত আশিকুরের অপরাজিত শতরানের দৌলতে ৪০.৫ ওভারেই জয়ের মাইল ফলক স্পর্শ করে বাংলাদেশ।