নিজস্ব প্রতিনিধি: ইতিহাস গড়ল পেপ গার্দিওয়ালার ছেলেরা। শনিবার রাতে তুরস্কের ইস্তানাবুলে আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে ইন্টার মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ান্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলল ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ম্যান সিটির তারকা ফুটবলার রদ্রি।
এদিন রাতে আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে শক্তি ও তারকার বিচারে পিছিয়ে থাকলেও পরিসংখ্যানের নিরিখে এগিয়ে ছিল ইন্টার মিলান। এর আগে তিন-তিন বার ইউরোপের সেরা ক্লাবের শিরোপা জিতেছিল ইতালির দলটি। আর ইংল্যান্ডের ম্যান সিটি বেশ কয়েকবার সেমিফাইনাল ফাইনালে উঠলেও ট্রফি ছোঁয়ার স্বাদ পায়নি। সম্মানের শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে দুই দলই অবশ্য পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছিল। প্রথমার্ধে দুই দলই আক্রমণের চেয়ে নিজেদের মধ্যে বল পাসিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তবে সিটির খেলোয়াড়দের বেশিক্ষণ বল পায়ে রাখতে দেননি সিমোন ইনজাগির শিষ্যরা। প্রথমার্ধে খালা কার্যত ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সিটির তু;নায় ইন্টার ভালো খেলেছিল। ম্যান সিটির হল্যান্ড ২৭ মিনিটের দিকে একটা দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে কেভিন ডি ব্রুইনার পাস থেকে ঠিকভাবে জায়গা বের করতে না পেরে শট নেন ইন্টার গোলরক্ষক আকন্দ্রে ওনানার গায়ে। ঠিক এক মিনিট আগে সিটির গোলরক্ষক এদেরসনের ভুলে সুযোগ পেয়ে বারেল্লা শট নিয়েছিলেন। তবে পোস্টের অনেক বাইরে ছিল সেই শট।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দল গোলের জন্য ঝাঁপিয়েছিল। অবশেষে প্রত্যাশিত গোল এলো ম্যাচের ৬৮ মিনিটে। ম্যানুয়েল আকাঞ্জি পাস বাড়ান ডানদিকে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা বের্নার্দো সিলভাকে। সিলভার ক্রস ইন্টারের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে যায় ম্যান সিটির মিডফিল্ডার রদ্রির কাছে। দুর্দান্ত এক শটে ইন্টারের জাল কাঁপান মিডফিল্ডার রদ্রি। পরের মুহূর্তেই গোল শোধ করে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইন্টার। ডেঞ্জেল ডামফ্রাইসের কাছ থেকে পাওয়া বলে দুর্দান্ত হেড নিয়েছিলেন দিমার্কো। তবে সেই হেড গোল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে আবার হেড মারেন দিমার্কো। কিন্তু কাঙ্খিত গোল হয়নি। ম্যাচের শেষ লগ্নে ৮৯ মিনিটে রোমেলু লুকাকোকে দারুণ এক বল বাড়িয়েছিলেন রবিন গোসেন্স। সামনে শুধু একা সিটি গোলরক্ষক। কিন্তু সোজা গোলরক্ষক এদেরসনকে লক্ষ্য করে বল মারেন লুকাকো। ওই সুবর্ণ সুযোগ মিসের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের ভাগ্য স্পষ্ট হয়ে যায়।