নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভোলবদল বিরাট কোহলির। বুধবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে খেলবেন। এর আগে শোনা গিয়েছিল তিনি ওয়ান ডে সিরিজ থেকে বিশ্রাম চেয়েছেন। তবে এদিন সমস্তটাই ঢোক গিললেন ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক। বুধবার তাঁর দাবি, ‘একদিনের ক্রিকেটে খেলার জন্য আমি তৈরি। শোনা যাচ্ছিল আমার নাকি অন্য কোথাও যাওয়ার কথা, সেই সব ভুল। টেস্ট দল নির্বাচনের দেড় ঘণ্টা আগে আমাকে ফোন করেন প্রধান নির্বাচক। তিনি জানিয়ে ছিলেন একদিনের ক্রিকেটে আমাকে অধিনায়ক রাখা হচ্ছে না’। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অভিমত, কোহলির সাংবাদিক সম্মেলনের পরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বিরাটের সংঘাত আরও স্পষ্ট হল। এর আগেই টি-২০ দলে কোহলির অধিনায়কত্ব গিয়েছিল। পরে ওয়ান ডে অধিনায়কত্বও কেড়ে নেওয়া হয়। বুধবার সকালেই বোর্ডকর্তা অনুরাগ ঠাকুর জানিয়ে দিয়েছিলেন ‘ভারতীয় দলে থাকতে হলে পারফর্মেন্স দরকার। কেউই ক্রিকেটের উর্ধ্বে নয়’। এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভোল বদলে কোহলি জানালেন তিনি ওয়ান ডে দলে খেলতে প্রস্তুত।
কোহলির এই অভিযোগ সামনে আসর পরই উত্তাল ভারতের ক্রিকেট। কারণ বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে কোহলি দাবি করেন, ‘আমি বুঝতে পারছি কেন আমাকে সরানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিসিসিআই-এর সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। টেস্ট দল নির্বাচনের ঘণ্টাখানেক আগে আমাকে ফোন করেন নির্বাচকরা। ফোন ছাড়ার আগে পাঁচ নির্বাচক আমাকে জানান আমি আর এক দিনের দলের অধিনায়ক থাকছি না। উত্তরে আমি বলি, ঠিক আছে’। ক্রিকেট মহলের মতে, কোহলির এই দাবি থেকেই পরিস্কার কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই কোহলির অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কোহলির দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ান ডে খেলা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই জল্পনায় ঘি ঢেলেছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘কোহলি খেলবেন না বলে আবেদন করেছেন’। কিন্তু বুধবার সব জল্পনার অবসান করলেন কোহলি নিজেই।