এই মুহূর্তে




নেইমারের রেকর্ড ভাঙলেন ব্রাজিলের এই ফুটবলার

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাজিলের জার্সিতে পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে শনিবার(৭ সেপ্টেম্বর)অভিষেক হয়েছে এস্তেভাওর। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১–০ গোলে জেতা ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন এই কিশোর। তাঁর বয়স হল মাত্র ১৭ বছর ১৩৫ দিন। তাই ব্রাজিলের জার্সিতে মাঠে নামা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছে এস্তেভা।

নাইকির সঙ্গে পেশাদার চুক্তি করেছেন ব্রাজিলের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার পালমেইরাসের বয়সভিত্তিক দলের এই উইঙ্গার। তবে তিনি এখন ‘মেসিনিও’ নামেই পরিচিত। খেলার ধরন নাকি মেসির মতোই। তাই তাকে দেওয়া হয়েছে এই তকমা। যদিও এই নাম নিয়ে খানিকটা আপত্তির কথা তুলেছিলেন এস্তেভা। এই নিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমাকে এস্তেভাও উইলিয়ান নামে ডাকলেই খুশি হব। কারণ, ওটাই আমার নাম।’ অবশ্য তিনি মেসি অনুরাগী।

শনিবার(৭ সেপ্টেম্বর)ম্যাচ শেষে নিজের আবেগ ভাগ করে নিয়েছেন এস্তেভাও। এই নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হওয়ায় তিনি খুবই আনন্দিত। কেননা এটা তাঁর ছেলেবেলার স্বপ্ন ছিল,  এই স্বপ্ন তাঁর একার ছিল না। ছিল তাঁর পরিবারেরও। জয় দিয়ে তাঁর অভিষেক হয়েছে এতে তিনি ভীষণ খুশি। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমাদের সেরাটা দিয়েছি এবং সামনেও আরও কঠিন পরিশ্রম করব।’

অবশ্য এই তালিকায় একটু নজর রাখলে দেখা যায়, এদু, কুতিনিও ও এনদ্রিক রয়েছে এই তালিকায়। এস্তেভাওর মতো ১৭ বছর ১৩৫ দিনে অভিষেক হয়েছিল প্রাক্তন ফুটবলার ওয়াল্টারের। সালটা ১৯৫৭ সালের ৭ জুলাই, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে দিয়ে অভিষেক হয়েছিল পেলের। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর ২৫৭ দিন। সেই ম্যাচে ২–১ গোলে হারলেও সেই ম্যাচ অবিশ্বাস্য যাত্রা শুরু করেন ‘ফুটবলের রাজা’। এখন পর্যন্ত বয়সের দিক থেকে অভিষেকে পেলেকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি অন্য কোনো ব্রাজিলিয়ান। রেকর্ড রয়েই গেছে।

এরপরেই নাম আসে এদুর। ১৯৪৯ সালে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলারের অভিষেক হয়েছিল ৫ জুন ১৯৬৬ সালে, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৬ বছর ৩০৩ দিন। পেলের সঙ্গেই মিলে খেলেছিলেন ১৯৬৬ ও ১৯৭০–এর বিশ্বকাপ। ১৯৭০ সালে চ্যম্পিয়ন হয়েছিল এদু।

আরও একজনের সর্বকনিষ্ঠ নামের তালিকায় আসে। সে হল এনদ্রিক। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচের ৬২ মিনিটে লুইজ হেনরিকের বদলে মাঠে নামেন পালমেরাইসে খেলা এই উইঙ্গার।এর মধ্য দিয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন নেইমার ও রোনান্ডো নাজারিওকে।

অবশ্য ২০২৩ সালের শুরু থেকে আলোচনায় এসেছিলেন এস্তেভাও। যদিও মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভার দ্যুতি ঠিকই বুঝতে পেরেছিল বিশ্বখ্যাত ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকি। একটা দিক থেকে রোনাল্ডো থেকে ভিনিসিয়ুস সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন এস্তেভাও।

বিশ্লেষেকরা মনে করছেন, ব্রাজিলকে সঠিক পথে ফেরাতে এনদ্রিক–এস্তেভাওদের মতো তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে। বেশ কিছু দিন ধরে নিজেদের ঐতিহ্য হারিয়ে মুষড়ে পড়ছে ব্রাজিলের ফুটবল। এখন এনদ্রিক-এস্তেভারা কতটা উজ্জ্বল করতে পারে ব্রাজিলের নাম সেটাই এখন দেখার বিষয়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নতুন ইনিংস শুরু করছেন পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দার

ক্ষমা চেয়েও রেহাই পেলেন না, মিরপুর স্টেডিয়াম চত্বরে সাকিব বিরোধী গ্রাফিতি

দলে ফিরেও আর্জেন্টিনাকে জেতাতে পারলেন না মেসি, ড্র করে মাঠ ছাড়ল বিশ্বজয়ীরা

ব্রাজিলে ব্যক্তিগত দ্বীপ কিনবেন নেইমার, জানেন কী এই দ্বীপের রহস্য ?

শেষ মুহুর্তের গোলে চিলির বিরুদ্ধে কোনও মতে জয় ব্রাজিলের

বিশ্বকাপের মাঝপথে বাবার মৃত্যু, তড়িঘড়ি দেশে ফিরলেন পাক অধিনায়ক

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর