নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: অল্প রানের পুঁজি নিয়েও ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল টিম ইন্ডিয়া। জস বাটলারদের বিরুদ্ধে ১০০ রানে জিতে টানা ছয় ম্যাচে জয়ের সুবাদে ফের দক্ষিণ আফ্রিকাকে হঠিয়ে শীর্ষ স্থানে উঠে এলো রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলেরা। প্রথমার্ধে ব্যাট হাতে দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব। আর দ্বিতীয়ার্ধে বল হাতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং মেরুদণ্ড গুঁড়িয়ে দিলেন যশপ্রীত বুমরা-মহম্মদ শামিরা।
রবিবার ছুটির দিনে লখনউয়ের একানা স্পোর্টস সিটিতে ভারতের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে খেলতে নেমেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। প্রথমে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠিয়ে ২২৯ রানে বেঁধে রেখেছিলেন ইংলিশ বোলাররা। জেতার জন্য জস বাটলারদের প্রয়োজন ছিল ২৩০ রান। লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না। কিন্তু গতবারের চ্যাম্পিয়নদের চলতি বিশ্বকাপে ম্যাচ হারতে হারতে মনোবল এতটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে যে সামান্য রান তাড়া করতে নেমে যশপ্রীত বুমরা-মহম্মদ শামিদের কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করলেন। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে পর পর দুই বলে ডাভিড মালান (১৬) ও জো রুটকে (০) ফিরিয়ে যে ধাক্কা দিয়েছিলেন সেই ধাক্কা গোটা ম্যাচে আর কাটিয়ে উঠতে পারলেন না গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পর পর ফিরে গেলেন বেন স্টোকস (০), জনি বেয়ারস্টো (১৪) জস বাটলাররা (১০)। ৫২ রানে ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে যে চরম বিপদের মুখে পড়েছিল ইংলিশরা, সেই বিপদ থেকে দলকে উদ্ধারের জন্য কেউই পরিত্রাতা হয়ে উঠতে পারলেন না।
ষষ্ঠ উইকেটে মইন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন খানিকটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন মাত্র। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষুধার্ত সিংহ হয়ে উঠেছিলেন মহম্মদ শামি-রবীন্দ্র জাদেজা-কুলদীপ যাদবরা। ইংলিশদের অন্যতম ভরসা মইন আলিকে (১৫) ফিরিয়ে ফের ধাক্কা দেন শামি। অকারণে রবীন্দ্র জাদেজার বল এগিয়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন ক্রিস ওকস (১০)। পরের ওভারে লিয়াম লিভিংসটোনকে (২৭) ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে জোর ধাক্কা দেন কুলদীপ যাদব। ডেভিড উইলি ও আদিল রশিদ শুধু ভারতের জয়ের ব্যবদান কমানোর একটা চেষ্টা চালান। ৩৪ ওভারে রশিদকে ফিরিয়ে ফের ধাক্কা দেন শামি। পরের ওভারেই মার্ক উডকে (০) সাজঘরে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস ১২৯ রানে মুড়িয়ে দেন বুমরা।