নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ৪ জন আইএসএফ (ISF) কর্মীকে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ (Police)। বৃহস্পতিবার রাতে লেদার কমপ্লেক্স থানা এবং কাশিপুর থানার পুলিশ তল্লাশি অভিযানে নেমে চার আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সংঘর্ষের ঘটনা যে দিন ঘটে, সেই মুহূর্তের ছবি ও সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এবং কাশিপুর থানার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি অভিযানে নামে। কাশিপুর থানা এলাকার সাতুলিয়া, নাংলা এবং আলাকুলিয়াতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এই জায়গাগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে তিন জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। ধৃতদের শুক্রবার বারুইপুর আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত সংঘর্ষের ঘটনায় এর আগে তিন দফায় ধড়পাকড় চালিয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৫০ জন আইএসএফ নেতা কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। প্রথমে ৪৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর প্রথমে একজন, পরে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য গত ২১ জানুয়ারি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ধর্মতলায় সমাবেশ ছিল আইএসএফ এর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে সেই সমাবেশে আসার পথে আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। পরে ওইদিন ধর্মতলায় সমাবেশ থেকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ দলের ১৯ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। রবিবার তাঁদেরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে নওশাদ-সহ বাকি আইএসএফ নেতা কর্মীরা জামিনের আবেদন জানান। মামলার শুনানি শেষে বিচারক ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে রবিবার আদালত কক্ষে যখন বিচারপ্রক্রিয়া চলছিল, নওশাদ-সহ বাকি আইএসএফ নেতা কর্মীদের জামিনের দাবিতে ব্যাঙ্কশাল আদালতের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আইএসএফ কর্মীরা। ধৃতদের মধ্যে এক নাবালককে ২৪ জানুয়ারি জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে। আপাতত তাকে হোমে রাখা হবে।