নিজস্ব প্রতিনিধি: কেষ্টমামা(Anubrata Mondol) নিজ জেলা, নিজ রাজ্য ছাড়া হতেই জমি ফেরাবার দাবিতে সুর চড়ল শিবপুরের(Shibpur) কৃষকদের মধ্যে যা নবান্নের(Nabanna) মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠল। অধিগৃহীত জমিতে শিল্প করতে হবে, তা না হলে ফেরত দিতে হবে জমি। সেই দাবিতে রবিবার ফের পোস্টার(Postar) দেওয়া হল শিবপুর জমিহারা কৃষক সংগ্রাম মঞ্চের তরফে। শিবপুর মৌজার অন্তর্গত কাশিপুর, নুরপুর, সুপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই পোস্টার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন মোদির সাক্ষাৎপ্রার্থী বঙ্গ বিজেপির শুভেন্দু বিরোধীরা
বীরভূম(Birbhum) জেলার অন্যতম মহকুমা শহর বোলপুরের কাছেই রয়েছে শিবপুর মৌজা। সেখানেই বাম আমলে একরকম জোর করেই ৩০০ একর জমির অধিগ্রহণ করা হয় শিল্পের জন্য। কিন্তু দীর্ঘদিন জমি পড়ে থাকলেও সেখানে শিল্প করা হয়নি। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটলে প্রথমে রাজ্য সরকারের তরফে জান্নো হয়েছিল ওই জমিতে কাঁসা-পিতলের হাব তৈরি করা হবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন শিবপুরের জমিতে হবে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসন প্রকল্প। সেই ঘোষণার পরই বেঁকে বসেন জমিদাতা কৃষকদের একাংশ। তারা দাবি তোলেন শিল্পের জন্য অধিগৃহীত জমিতে শিল্পই করতে হবে। তা না হলে ফেরত দিতে হবে জমি। জমিদাতা অনিচ্ছুক কৃষকদের নিয়ে গড়ে ওঠে শিবপুর জমিহারা কৃষক সংগ্রাম মঞ্চ। শুরু হয় জমি ফেরতের দাবিতে আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মাঝেই অধিকৃত জমিতে শুরু হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসন তৈরির কাজ। সেই কাজ এখনও চলছে।
আরও পড়ুন জয়ের লক্ষ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই জেলায় জেলায় সভা অভিষেকের
এদিকে গরু পাচার মামলায় কেষ্ট মামার দিল্লি যাত্রার পর থেকেই ফের কৃষকদের আন্দোলন নতুন করে গতি পেয়েছে। জমিহারা কৃষক সংগ্রাম মঞ্চের তরফে জমি ফেরতের দাবিতে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি একটাই, শিল্পের জন্য অধিকৃত জমিতে শিল্প করতে হবে না হলে ফেরত দিতে হবে। প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই জমি অধিকৃত হয়ে রয়েছে। তাঁরা সকলেই জমি দিয়েছিলেন এখানে শিল্প গড়ে তোলার জন্য, কর্মসংস্থান হবে সেই ভাবনা থেকে। কিন্তু তা না হয়ে আবাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। তাই তাঁদের দাবি না মানলে আগামী দিনে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।