নিজস্ব প্রতিনিধি, বীরভূম: শান্তিনিকেতনের মোলডাঙ্গায় এখন পরিস্থিতি থমথমে। সেই পরিস্থিতিতে ঘোলাজলে মাছ ধরতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেয়ে বিক্ষোভের মুখে কলকাতায় ফিরতে বাধ্য হলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বুধবার দলবল নিয়ে বিজেপি সাংসদ সেখানে গিয়ে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু হিন্দু- মুসলিম-সহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং তার দলবলকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয়। তাদের ঘিরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান । তারা বলেন, এইরকম দুঃখজনক ঘটনায় কোন রাজনীতি তারা চান না। দীর্ঘক্ষণ জনগণের অবরোধে অবরুদ্ধ হয়ে কলকাতায় ফিরতে বাধ্য হন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
গতকাল শিভমের মৃতদেহ উদ্ধারের পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযুক্তের বাড়ির আগুন লাগানোর পাশাপাশি এলাকায় ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা চলে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত। শিশু খুনের ঘটনার প্রতিবাদে জেলা বামফ্রন্ট রাস্তা অবরোধ এবং শান্তিনিকেতন থানায় ডেপুটেশন দেয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রুবি বিবি ও তার মা সুফিকা বিবিকে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের ফাঁসির দাবি তোলা হয়।
বুধবার লকেট চ্যাটার্জি গ্রামে ঢুকতে গেলে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। হিন্দু মুসলিমসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষজন একজোট হয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় কে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং তার সঙ্গে থাকা বিজেপি নেতাদের ঘিরে রাখে বিক্ষোভকারীরা তারা এই ধরনের নৃশংস খুনের ঘটনায় রাজনীতি হোক এটা চায়না বলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। অবশেষে বিক্ষোভের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ যাওয়ার আগে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান এবং অহংকারের সুরে বলেন সিবিআই অফিসারদের নিয়ে তিনি ভবিষ্যতে এখানে আসবেন। স্থানীয় পুলিশের ওপর কোন ভরসা নেই বলে সিবিআই তদন্তই একমাত্র সঠিক পথ এই জোরালো দাবি নিয়ে বিক্ষোভের মুখে দলবল নিয়ে কলকাতায় ফিরে যেতে বাধ্য হন বিজেপি সাংসদ ও নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।