নিজস্ব প্রতিনিধি: অজানা জন্তুর পায়ের ছাপে ফের চাঞ্চল্য ছড়াল ঝাড়গ্রামে। জানা গিয়েছে, এই অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ মিলেছে ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। এলাকাবাসীদের কয়েকজন জন্তুটিকে দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন। তৎপর বনদফতর (Forest Department)। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই জন্তুর আওয়াজও শুনতে পেয়েছেন তাঁরা।
অজানা জন্তুর পায়ের ছাপে আতঙ্কিত ঝাড়গ্রামের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শুকনীবাসা গ্রাম। স্থানীয়দের দাবি তাঁদের কয়েকজন দেখেছেন জন্তুটিকে। তবে কী জন্তু তা চিহ্নিত করতে পারেননি তাঁরা। এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের আরও দাবি, গত শুক্রবার রাতে গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গল থেকে শোনা গিয়েছে জন্তুর ডাকও। আর তারপরেই ভোরে দেখতে পাওয়া যায় ওই জন্তুর পায়ের ছাপ। গ্রামের রাস্তায় মিলেছে পায়ের চিহ্ন। গ্রামবাসীদের দাবি, শুক্রবার রাতে তাঁরা দেখেছেন ওই জন্তুকে। স্থানীয়রাই খবর দেন স্থানীয় থানা ও বনদফতরে। যেখানে পায়ের চিহ্ন মিলেছিল, ওই জায়গায় যায় পুলিশ ও বনকর্মীরা। তবে তল্লাশি চালিয়েও মেলেনি জন্তুর দেখা।
আর এই নিয়েই ধন্দে রয়েছে পুলিশ (Police) ও বনকর্মীরা। কার পায়ের ছাপ তা বোঝা যাচ্ছে না। গ্রামের কারও দাবি, রাতের অন্ধকারে সাদা রঙের এক জন্তুকে দেখা গিয়েছিল। তবে কী জন্তু তা বোঝা যায়নি। আবার কারও দাবি, এই পায়ের ছাপ নেকড়ের। সব মিলিয়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। যেখানে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ মিলেছে সেই জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছে। কাওকে যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না। চলছে জোর নজরদারি ও তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলে এর আগেও দেখা মিলেছিল নেকড়ের। বনদফতরের অনুমান, নেকড়ে হতে পারে জন্তুটি। লালগড় সংলগ্ন গঙ্গাদাসপুরেও মিলেছিল এই ধরণের পায়ের ছাপ। উদ্ধার হয়েছিল এক ছাগলের ক্ষতবিক্ষত দেহ। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বাঘ বলে। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় ওই জন্তুটি ছিল নেকড়ে। শুকনীবাসা গ্রামেও নেকড়ে ছিল বা আছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। চলছে তল্লাশি।