নিজস্ব প্রতিনিধি: গর্ভবতী স্ত্রীকে বাড়িতে আটকে রেখে চালানো হতো বেধড়ক মারধর। এমনকি ওই মহিলাকে প্রাণে মারার (MURDER) হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঘুটিয়ারি শরীফ এলাকার ঘটনা। তা জানাজানি হতেই দ্রুত ঘুটিয়ারি থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। এরপর পুলিশ অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূকে ঘর থেকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত স্বামী সুপ্রিয় দাসকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্রিয় দাস নামের ওই ব্যক্তি দু’দিন ধরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন। এখানেই শেষ নয়। ঘরে আটকে রেখে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করা হতো বলেও অভিযোগ। অভিযুক্ত আগে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বন্ধ ঘরে অভিযুক্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারতেন। তার জন্য আমরা ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চাইনি। বাইরে থেকেই অভিযুক্তকে দীর্ঘক্ষণ ধরে বোঝানো হয়। অবশেষে সুপ্রিয় দরজা খুলে দেন। এরপরে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে উদ্ধার করি আমরা’।
অভিযুক্তের পরিবারের তরফ থেকে সুপ্রিয় দাসের মা মনীষা দাসের অভিযোগ, ‘আমার ছেলের গলা জ্বালা করছিল। বারবার বলেছিল, ওর বউ বিষ খাইয়ে মারতে চাইছে’। তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনাতেই ছেলের মাথা গরম হয়ে যায়’। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুদিন ধরে তাঁকে আটকে রেখে মারধর চালায় স্বামী। অভিযোগ, কাঁচের বোতল ভেঙে খুন করার চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত।
অভিযুক্তের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েছিলেন সুপ্রিয়। প্রশিক্ষণ চলাকালীন তাঁর হাতে গ্রেনেড ফেটে যাওয়ায় ডান হাত অকেজো হয়ে পড়ে। চাকরি চলে গিয়েছিল তাঁর। তখন থেকেই তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত। মানসিক অবসাদের জেরেই না কি সুপ্রিয় এই কাজ করেছে বলেও দাবি তাঁর পরিবারের। ইতিমধ্যে ঘুটিয়ারি থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।