নিজস্ব প্রতিনিধি: বকটুই কান্ডের ১০ দিনের মাথায় গ্রামে ফিরছেন নিহতদের পরিবার। প্রশাসনের তরফে তাঁদের বকটুই গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তাঁদের বুধবার ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। বকটুই গ্রামে ফিরছেন মিহিলাল শেখরা।
বীরভূমের রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বকটুই গ্রামে দাঁড়িয়ে ঘরছাড়াদের গ্রামে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে ঘরছাড়াদের গ্রামে ফিরতে পুলিশ সবরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরই গ্রামে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন মিহিলাল শেখরা। মঙ্গলবার সাঁইথিয়ার বাতাসপুর গ্রাম থেকে বকটুই গ্রামে ফেরেন তাঁরা। গ্রামে ফিরলেও নিজেদের বাড়ি পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই বাড়িতে থাকবেন না মিহিলালরা। বকটুই গ্রামের পাশে কুমাড্ডা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেবেন।
অন্যদিকে বুধবার সকাল থেকেই বকটুই গ্রামের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা ছাড়াও বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছেন অফিসাররা৷ অভিযুক্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। পলাতক অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতেই এই তল্লাশি অভিযান সিবিআই-এর। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা দমকল আধিকারিক ও নীচু তলার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের বয়ান রেকর্ডও করা হবে।
গত ২১ মার্চ তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর রাতে পরপর ১০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সেই ঘটনায় ৯ জনের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার রাত রাত থেকেই আতঙ্কে ঘরছাড়া ছিলেন মৃতদের পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বকটুই এসে মৃতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। তারপর ঘরছাড়াদের গ্রামে ফিরে আসার আহ্বান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।