এই মুহূর্তে




বনগাঁর সাইবার ক্যাফে থেকে জাল নথিপত্র তৈরির চক্রকে পাকড়াও করল পুলিশ




নিজস্ব প্রতিনিধি, বনগাঁ ও ব্যারাকপুর: সাইবার ক্যাফেতে বসে জাল নথিপত্র তৈরির কারবার চলত। খবর পেয়ে হানা দিল বনগাঁ থানা।বনগাঁর সীমান্ত এলাকায় হানা দিয়ে তিন বাংলাদেশী সহ একজনকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ(BSF)।বাংলাদেশীদের কাছ থেকে কিছু ভারতীয় নথি উদ্ধার হয় সেই সূত্র ধরে সোমবার সন্ধ্যায় বনগাঁর গান্ধীপল্লী এলাকায় একটি সাইবার ক্যাফেতে(Cyber Cafe) হানা দেয় পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর জাল নথিপত্র। ঘটনায় সাইবার ক্যাফের মালিক রাকেশ মন্ডল গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। রাকেশের বাড়ি বনগাঁ থানার(Banga P.S.) শুকপুকুড়িয়া এলাকায় ও পুলিশ আগে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের বাসিন্দা ঊর্মি সালমা বেগম, নাইমুর রহমান ,শাহান আক্তার, দিব্যেন্দু সরকার যার বাড়ি পেট্রাপোল থানার খলিতপুর এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দিব্যেন্দু সরকার চোরাপথে আশা বাংলাদেশীদের ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে দেওয়ার জন্য রাকেশের কাছে নিয়ে আসতো। কিছু অর্থের বিনিময় মুহূর্তের মধ্যে ভারতীয় নথিপত্র তৈরি করে ফেলত রাকেশ। সাদা চোখে তা দেখে বোঝা যেতো না যে সেইগুলো জাল নথি । তারপরই ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হতো তাদের। মঙ্গলবার ধৃতদের ৭ দিনের নিজেদের হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। এদিকে,সাইবার ক্রাইমের(Cyber Crime) দ্বারা প্রতারিত এক ব্যক্তির ৪৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হলো ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে। গত ২ জুলাই সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়েন ব্যারাকপুর তাল বাগান এলাকার বাসিন্দা সুরজ দত্ত। এই দিন মুম্বাই থেকে একটি ভিডিও কল আসে এই ব্যক্তির কাছে সেখানে তাকে বলা হয় তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে যার জেরে তার নামে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। বিষয়টি বিশ্বাস যোগ্য করার জন্য তাকে ভিডিও কলে এক ব্যক্তির সাথে কথা পর্যন্ত বলানো হয়। যিনি আই পি এস অফিসার পরিচয় দিয়ে সুরজ দত্তর সাথে কথা বলে টাকা দাবি করেন।

এমন কি তাকে আর বি আই এর একটা অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে তাতে ৪৮ লক্ষ টাকা জমা করতে বলা হয় আর সেই অর্থ আগামী তিন দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথাও জানান হয়। কিন্তু সেই অর্থ ট্রান্সফার করার পর সুরজ দত্তর মনে হয় তিনি প্রতারিত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি টিটাগড় থানায়(Titagar P.S.) অভিযোগ দায়ের করেন। এহেন অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তৎক্ষণাৎ তদন্ত শুরু করে এবং যে অ্যাকান্ট টিতে টাকা দেওয়া হয়েছিল সেটি খোঁজ করে সফলতা পায় পুলিশ। অবশেষে খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এদিন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার আলোক রাজরিয়া প্রতারিত ব্যক্তির হাতে তার খোয়া যাওয়া ৪৮ লক্ষ টাকা তুলে দেন। সেই সঙ্গে সমস্ত মানুষকে এই ধরনের ফেক কলের ফাঁদে না পড়ার পরামর্শ দেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্তসহায়কের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

বাড়ির ৪০০ বছরের পুজোতে আজও নস্টালজিয়ায় ভাসেন মালা রায়

রাত করে বাড়ি ফেরায় বকুনি, মাকে খুনের চেষ্টার পরেও গায়ে আগুন মেয়ের

মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল Joint Platform of Doctors’র, বিকালে জমায়েতের ডাক

শক্তিগড়ে পথ দুর্ঘটনার বলি চিকিৎসকের স্ত্রী ও মেয়ে

সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে গভীর নিম্মচাপ, ভাসবে গোটা বাংলা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর