-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 4:07 am
নিজস্ব প্রতিনিধি,ব্যারাকপুর:বুধবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ওই দোকানের মালিকের ছেলের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দু’জন। এদিকে এই সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনা তদন্তে নেমে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের(Barrackpore Comissonarate) গোয়েন্দারা লাল জামা পড়া এক ব্যক্তিকে খুঁজছে। ওই ব্যক্তি সোনার অলংকারের হলমার্কের কাজ করেন। ঘটনার দিন সে মাথায় হেলমেট(Helmet) পড়ে এসেছিল, আর সে দোকানে প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুষ্কৃতীরা সেখানে হাজির হয়েছিল।
এই ঘটনার সঙ্গে মাথায় হেলমেট পড়া ওই ব্যক্তির কোনো যোগসাজশ আছে কিনা তা গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছে। একইসঙ্গে ওই সোনার দোকানের মালিকের ছেলে যে কিনা দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত হয় তার স্ত্রীর গতিবিধির উপরেও নজর রাখছে গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে পুলিশ জানতে পেরেছে গত বছর আটই ডিসেম্বর নিহত ওই ব্যবসায়িক পুত্র বিবাহ করেছিল এ বছরই তার প্রথম জামাইষষ্ঠী ছিল। তার স্ত্রী জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে বাপের বাড়িতে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার নিহত ব্যবসায়ীর পুত্রের শ্বশুরবাড়িতে প্রথম জামাই ষষ্ঠী পালনে যাওয়ার কথা ছিল। দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর নিহত ব্যবসায়ীর পুত্র ঐন্দ্রিলাকে বিবাহ করেছিল। এই ঘটনার পেছনে তার স্ত্রীর পূর্ববর্তী কোনো প্রেম- প্রণয় জাতীয় সম্পর্ক আছে কিনা, সে বিষয়টিও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছে।গোয়েন্দারা এই সোনার দোকানে ডাকাতির পেছনে শুধুমাত্র লুঠ নাকি অন্য কোন মোটিভ আছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুরের সাংসদ বলেন, ‘‘পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, পুলিশের ভূমিকা সঠিক নয়। পুলিশ-প্রশাসনের উপর মানুষের যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে, তাতে আমাদের দলের ক্ষতি হবে।’’ একধাপ এগিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘আগেকার পুলিশ অফিসার দেখে অপরাধীরা অপরাধ করতে ভয় পেত। কিন্তু এখনকার পুলিশ অফিসারেরা অপরাধীদের শায়েস্তা করতে ব্যর্থ। ছোট ছোট বিষয় পুলিশের একাংশ অতি সক্রিয়। কিন্তু অপরাধীরা যে মুক্তাঞ্চল বানিয়ে ফেলছে, তা দেখেও আমরা কিছু করতে পারছি না।’’ অর্জুন সিং(Arjun Singh) বলেন, এতে সাংসদ হিসেবে তিনি দুঃখিত।ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা নিয়ে অর্জুন বলেন, ‘‘এক মাসের মধ্যে দুটো খুন হয়ে গেল! এক জন ব্যবসায়ী মারা গেলেন। এক জন মাত্র ৪ লক্ষ টাকা ধার নেওয়ার পর খুন হলেন। আর টিটাগড় থানার(Titagar P.S.) ভূমিকাও সঠিক নয়।’’ সাংসদের সংযোজন, ‘‘অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা নাকি তাদের ধরতেই পারছে না পুলিশ, সেটা দেখার বিষয়।’’
এর পর তিনি পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘৪০ কেজির ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না। সে আবার অপরাধীদের ধরতে পারে নাকি! কিছু লোক এদের পরিচালনা করছে। এতে আখেরে পার্টির ক্ষতি হচ্ছে। অপরাধীরা মুক্ত ভাবে বিচরণ করছে।’’ পুলিশ-প্রশাসন নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এনকাউন্টার করতে বলছি না। কিন্তু অপরাধীদের জেলে ঢোকাতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ পুলিশকেই করতে হবে।’’