নিজস্ব প্রতিনিধি, মগরাহাট: শিক্ষকতা তাঁর নেশা, তিনি পেশায় ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাই স্কুল পরিদর্শনে এসে নিজেকে সামলাতে পারলেন না। পড়ুয়াদের একটু ক্লাস নিলেন, বলা ভালো পড়াশোনা করলেন। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট-২ ব্লকের বিডিও আব্দুল্লাহ শেখ। মঙ্গলবার দুপুরে মগরাহাটের হাঁসুড়ি হাইস্কুলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। করোনাকালে দীর্ঘদিন ক্লাস বন্ধ থাকার পর সদ্য খুলেছে স্কুল। ফলে স্কুল বিল্ডিংয়ের হাল-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে বের হয়েছিলেন মগরাহাট-২ ব্লকের বিডিও আব্দুল্লাহ শেখ। স্কুল বিল্ডিং ঘুরে দেখার ফাঁকে উঁকি মারেন একাদশ শ্রেণির ঘরে। এরপরই তিনি পুরো একটা ক্লাস পড়ান পড়ুয়াদের। ভাইরাস ও আবহাওয়ার পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্লাস নেন বিডিও। পড়ুয়াদের পাশাপাশি তখন মুগ্ধ শ্রোতা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রণজিৎ হালদারও। স্বয়ং বিডিও ক্লাসে এসে পড়িয়ে যাওয়ায় খুশি পড়ুয়ারাও।
২০১৬ সালে বিডিও কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চের (আইএসইআর) চাকরি ছেড়ে বীরভূম জেলার সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের বিডিও পদে যোগ দেন আব্দুল্লাহ শেখ। কিন্তু, ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো তাঁর নেশা। একসময় কোচিং করাতেন, এখন ব্যস্ততার কারণে অনলাইনে পড়ান। তাই বহুদিন পর সরাসরি ক্লাসে পড়াতে পেরে আর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি বিডিও আব্দুল্লাহ শেখ। পরে তিনি বলেন, পড়ানো আমার নেশা। স্কুল আর পড়ুয়া পেয়ে তাই একটু ঝালিয়ে নিলাম। সবাই খুব ভাল। পড়ুয়াদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। আর মগরাহাট হাঁসুড়ি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, বিডিও সাহেব আমাদের স্কুলের ছাত্রদের ক্লাস নেওয়ায় আমরা উপকৃত হলাম। আর এই অতিমারী পরিস্থিতিতে উনি সচেতনতামূলক যে ক্লাস নিয়েছেন তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।