নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের জেরে স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম(School Students Uniform) তৈরির খরচ এক ধাক্কায় কমে এল অনেকটাই। সেই সঙ্গে তৈরি হয়েছে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির মধ্যস্থতাকারীদের সরিয়ে রাজ্যের মা-বোনেদের সরাসরি ওই কাজে নিযুক্ত করার ফলে এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিগত শিক্ষাবর্ষে এই খাতে খরচ হয়েছিল ৮২০ কোটি টাকা। তার আগের শিক্ষাবর্ষে খরচ হয়েছিল ৮৮০ কোটি টাকা। চলতি শিক্ষাবর্ষে কিন্তু খরচ হবে মাত্র ৭৬০ কোটি টাকা। তবে সব থেকে বড় বিষয় হল খরচ কমলেও পোশাকের সংখ্যা বা গুণমান কিন্তু কমছে না। বরং ইউনিফর্ম তৈরির কাপড়ের গুণমান অনেকটাই বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন বন্দে ভারতের মাশুল গুণল কী করমণ্ডল, শুরু বিতর্ক
প্রতি বছর রাজ্যের প্রায় ১.১৫ কোটি পড়ুয়াকে ২টি করে স্কুল ইউনিফর্ম দেয় রাজ্য সরকার। আগে এই পোশাকের জন্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। বর্তমানে চিত্রটা অনেকটাই বদলেছে। ২০২১ সালে রাজ্যের গৃহীত নীতির ভিত্তিতে বসেছে অত্যাধুনিক তাঁত মেশিন। সেখানে উৎপাদিত কাপড়ে ইউনিফর্ম তৈরি করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর(Self Help Group) সদস্যরা। ফলে প্রচুর মানুষ কাজ পেয়েছেন। সেই পদক্ষেপের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজ্যের অর্থনীতিতেও(State Economy)। পাশাপাশি, পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হয়েছে রাজ্য। নবান্ন সূত্রে খবর, ক্ষুদ্রশিল্প দফতরের অধীনে থাকা Directorate of Textile’র বাজেট হিসাব অনুযায়ী চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজ্যে স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির খরচ দাঁড়াবে ৭৬০.৪৮ কোটি টাকায়।
আরও পড়ুন ২৪ বছরের ব্যবধান ঘুচিয়ে একসূত্রে বাঁধা পড়ল গাইসাল-বাহানাগা
রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প দফতরের আধিকারিকদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নেওয়া উদ্যোগ যে আজ রাজ্যের সামাজিক, প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে, তা পরিষ্কার। রাজ্যে স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির জন্য প্রতি বছর প্রয়োজন হয় প্রায় ৪.৬ কোটি মিটার শুটিং-শার্টিংয়ের তাঁতকাপড়। মাত্র দু’বছরে এই কাপড়ের অধিকাংশই রাজ্যে উৎপাদনের পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। আগামী এক বছরে বাকিটা হয়ে যাবে। ফলে এই খাতে খরচ আরও কমবে বলে আশা করাই যায়।