নিজস্ব প্রতিনিধি: মকর সংক্রান্তির আগের দিনই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরবঙ্গ বাসীরা। বৃহস্পতিবার ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ৫ টার সময় লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। লাইনের সমস্যা থাকার জন্য ইঞ্জিনের পর থেকেই ১২ টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দেশলাই বাক্সের মত একটির ঘাড়ে অপরটি উঠে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চারটি বগি। ঘটনার খবর পেয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার রাতে তড়িঘড়ি কলকাতায় আসেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শুক্রবার ভোরেই বিশেষ ট্রেনে ময়নাগুড়ির দোমহানির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী।
গোটা এলাকা পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী জানান, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। আমি নিজে এখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির উপর নজর রাখছেন। আমি এখানে এসেছি এই দুর্ঘটনার মূল কারণ জানার জন্য। আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগাযোগ রয়েছে। উনি খোঁজখবর নিচ্ছেন।’ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সামগ্রিক ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও ছিলেন রেল বোর্ডের ডিজি (সেফটি)। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল কি না, রেললাইনে কোনও সমস্যা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখবেন তিনি।
রেলের তরফে গত বৃহস্পতিবারই এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা, আহতদের ২৫ হাজার টাকা ও গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতভর উদ্ধারকাজ চলেছে। ভোরের ঘন কুয়াশাতেও উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, বিএসএফ, সশস্ত্র সীমা বল-এর জওয়ানরা।