এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অনুব্রত গ্রেফতার, তাঁর পদে আসতে পারেন বিকাশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: গরুপাচার(Cattle Smuggling) কাণ্ডে আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমেছে সিবিআই(CBI)। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বীরভূম(Birbhum) জেলা তৃণমূল(TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mondol)। তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বাড়ি থেকে নগদ ও সোনা উদ্ধার হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর সম্পত্তির নথিও উদ্ধার হয়েছে। ওই সব সম্পদের মোট মূল্য ১০০ কোটি টাকা। সেই সূত্রেই অনুব্রত মণ্ডলকে বার বার জেরার জন্য ডেকে পাঠাচ্ছিল সিবিআই। কিন্তু ১০ বার ডাকলেও অনুব্রতবাবু মাত্র ১ বার হাজিরা দিয়েছিলেন। গতকালও তাঁকে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে নিজেদের কার্যালয়ে হাজিরা দিতে বলেছিল সিবিআই। কিন্তু তিনি যাননি। তার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূম জেলার বোলপুরে(Bolpur) নীচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তাঁর বাড়ি ঘিরে ধরে তাঁকে প্রথমে এক ঘন্টা মতো জেরা করার পরে আটক করে সিবিআই। বিকাল ৪টের পরে তাঁরা জানায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তারপরেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল দলের মূল যে পদে ছিলেন অর্থাৎ বীরভূম জেলায় দলের সভাপতি সেই পদে আনা হতে পারে সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীকে(Bikash Roy Chowdhury)।

বীরভূম জেলায় বাম জমানা থেকেই তৃণমূলে রয়েছেন অনুব্রত। পরিবর্তনের পরে তিনিই হয়ে ওঠেন বীরভূমের প্রথম ও শেষ কথা। তাঁর দাপটে বিরোধিরা তো রাজনীতি করাই ভুলে গিয়েছিল, এমনকি তৃণমূলের বহু পুরাতন নেতাও বসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। কার্যত কেষ্ট’র দাপটে বাঘে গরুতে জল খেত বীরভূম জেলায়। কিন্তু গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার হওয়ার পরে পরেই সেই ছবিটা রাতারাতি বদলে গিয়েছে। যে জেলার মাটিতে কেষ্ট’র ধারেকাছে বিরোধিরা ঘেঁষতে সাহস পেত না সেই বিরোধিরা বিশেষ করে বাম ও বিজেপির নেতা থেকে কর্মী মায় সমর্থকেরা এদিন কেষ্টকে ‘চোর চোর গরুচোর’ বলে কটাক্ষ হেনেছে। মুখ বুজে সেটা এদিন শুনতেও হয়েছে অনুব্রতকে। কার্যত এদিন সকালে অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে আটক হতেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল এবার বীরভূমের দায়িত্ব কার হাতে যাবে তা নিয়ে। আর এখানেই তৃণমূল সূত্রে যার নাম ভেসে উঠেছে তিনি হলেন বিকাশ রায়চোধুরী। সম্ভবত তাঁকেই হয়তো অস্থায়ী ভাবে দলের জেলা সভাপতির দায়দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

কিন্তু কেন বিকাশ? আর কী কেউ নেই? প্রথমত, বিকাশ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ। তাঁর বাড়ি বোলপুরেই। তাই দলের জেলা সংগঠনের দেখভাল করা বা দল চালানো তাঁর পক্ষে খুব একটা অসুবিধা হবে না। দ্বিতীয়ত, তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি যা অনুব্রতকাণ্ডে অস্বস্তিতে পড়া তৃণমূল কাজে লাগাতে চাইছে। তৃতীয়ত, জেলার সভাধিপতি হওয়ার সূত্রে জেলার উন্নয়নমূলক কাজে তাঁর নজর রয়েছে। অনুব্রত না থেকেও সাংগঠনিক ভাবে দলকে ধরে রেখে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করা খুব একটা চাপ হবে না তাঁর কাছে। চতুর্থত, জেলা পরিষধের সভাধিপতি পদটি আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংরক্ষিত হতে পারে মহিলাদের জন্য। সেক্ষেত্রে সেই পদ ছাড়তে হবে বিকাশবাবুকে। যদিও তিনি সিউড়ির বিধায়ক পদ ধরে রাখতে পারবেন। সেই পদ ধরে রেখেই জেলায় দলকে নেতৃত্ব দেওয়া খুব একটা অসুবিধা যেমন হবে না তেমনি জেলায় কেষ্ট’র অনুগামীরাও কোনঠাসা হবেন না। বরঞ্চ বিকাশের মতো স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কেউ দলের জেলা সভাপতি পদে এলে দলের বসে যাওয়া অনেক পুরাতন নেতাকর্মী ফের সক্রিয় হতে পারেন বলেই জানা গিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

সন্দেশখালিতে এনএসজিকে ডেকে রোবট এনে হাত বোমা উদ্ধার করল সিবিআই

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

প্রচন্ড গরমের মধ্যে লাগাতার ১৫ দিন ধরে লোডশেডিং,প্রতিবাদে অবরোধ

চন্দননগরে প্রচারে গিয়েও প্রসিদ্ধ ‘জলভরা সন্দেশ’ চাখা হল না রচনার, কেন?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর