এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

উত্তরবঙ্গে রাজবংশী ভোট নিয়ে চরম উদ্বেগে পদ্মশিবির

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের বুকে উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টিতেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি(BJP)। ১টি আসন গিয়েছিল কংগ্রেসের দখলে। খালি হাতেই উনিশের ভোটে উত্তরবঙ্গ(North Bengal) থেকে ফিরতে হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে(TMC)। সেই নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল উত্তরবঙ্গের অন্যতম তপশিলি ভোট ব্যাঙ্ক রাজবংশীরা(Rajbangshi) দুই হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছিল পদ্মশিবিরকে। কেননা তাঁদের কাউকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল পৃথক কোচ রাজ্যে গঠন করার, কাউকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠন করে দেওয়ার, কাউকে বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল নারায়নী সেনা গঠন করার। কিন্তু গত ৫বছরে এই সব প্রতিশ্রুতির সিকি ভাগও পূরণ করতে পারেনি বা করেনি পদ্মশিবির। আর সেই কারণেই এবার ২৪’র ভোটে(General Election 2024) উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ভোট ব্যাঙ্ক বিজেপির স্বপক্ষে থাকবে নাকি তা হাতছাড়া হবে সেই নিয়ে চরম উদ্বেগ ছড়িয়েছে বাংলার পদ্মশিবিরে।

উত্তরবঙ্গের ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি লোকসভা কেন্দ্রে কার্যত ফলফল নির্ণায়ক হয়ে ওঠে রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ক। এই ৪টি কেন্দ্র হল – কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাট। উনিশের ভোটে এই ৪ কেন্দ্রেই জয়ের মুখ দেখেছিল বিজেপি। কিন্তু এই ছবিটাই বদলে যেতে শুরু করেছে একুশের রাজ্য বিধানসভার ভোটের সময় থেকেই। দেখা যাচ্ছে এই ৪টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা মোট ২৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একুশের ভোটে বিজেপির দখলে যায় ১৪টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং তৃণমূলের দখলে যায় বাকি ১৪টি বিধানসভা কেন্দ্র। অথচ উনিশের লোকসভা ভোটে এই ২৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৫টিতেই লিড পেয়েছিল বিজেপি। সেই নির্বাচনের ২ বছরের মধ্যে ১১টি কেন্দ্রে বিজেপি সেই লিড হারিয়ে ফেলে। ওই ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রের রাজবংশী ভোট তৃণমূলের দিকে চলে গিয়েছিল বলেই বিজেপিকে ওই ফলাফলের মুখোমুখি হতে হয়। একই সঙ্গে এটাও সপষ্ট হয়ে যায় যে রাজবংশী ভোট আর বিজেপির একচেটিয়া দখলে নেই। সেখানে ভাগ বসিয়েছে তৃণমূলও। কার্যত উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ভোট আড়াআড়ি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার কী হবে?

পদ্মশিবিরে ৩টি বিষয় নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। প্রথমত, রাজবংশীদের অন্যতম মাথা অনন্ত মহারাজের ভূমিকা। বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছে। কিন্তু তিনিই কিছুদিন আগে মুখ খুলে সরব হয়েছিলেন যে দল তাঁকে দাম দিচ্ছে না। কার্যত কোনও কদরই নেই তাঁর বিজেপিতে। প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রেও দল তাঁর মতামত জানতে চায়নি। আর এই কথা বলার পরে পরেই তাঁকে নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে পদ্মের অন্দরে। অনন্তের বিদ্রোহ বিজেপিকে লোকসভা নির্বাচনে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলে দেবে। দ্বিতীয়ত, The Greater Cooch Behar People’s Association’র তরফে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বংশীবদন বর্মন জানিয়েছেন রাজবংশী জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পাশে থাকবেন তাঁরা। প্রচার করবেন তৃণমূলের স্বপক্ষেই। তাঁর দাবি, বর্তমান রাজ্য সরকার রাজবংশীদের জন্য যা করেছে, তা অন্য কোনও সরকার করেনি। এর প্রতিদান দেওয়া হবে। তৃতীয়ত CAA। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ের অনেকেরই শিকড় ওপার বাংলার। এই আইন নিয়ে তাঁদের মধ্যে ভয় তৈরি হয়েছে। এরা না এই আইন মেনে কোনও আবেদন জানাতে চান, না বিজেপিকে আর সমর্থন জানাতে চান। আর এই প্রেক্ষাপটই বলে দিচ্ছে, উনিশের ভোটে জেতা উত্তরবঙ্গের ৪টি লোকসভা কেন্দ্র এবার বিজেপির হাতছাড়া হওয়ার সমূল সম্ভাবনা থাকছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাণাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর হয়ে প্রচারে দেব

বাংলায় ইন্ডিয়া জোট না হওয়ার দায় অধীরের ঘাড়ে চাপালেন অভিষেক

মোবাইল চুরি চক্রের পর্দা ফাঁস নিউ ব্যারাকপুর থানার

কেন লকেটের বিরুদ্ধে ‘অনভিজ্ঞ’ রচনা, খোলসা করলেন মমতা

বঙ্গে রবিবার পর্যন্ত চলবে ঝড়-বৃষ্টি, আগামী সপ্তাহে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা

উচ্চ মাধ্যমিকে জেলায় জেলায় এবার নজর কাড়া ফলাফল বাংলার কন্যাশ্রীদের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর