নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমা রীতিমত ভারত বিখ্যাত অনুপ্রবেশের জন্য। সেখানে দিনরাত রীতিমত বুক ফুলিয়ে ওপার বাংলার মানুষেরা এপার বাংলায় অবৈধ ভাবে চলে আসেন স্থানীয় দালালদের ধরে। বেশিরভাগই এদেশে আসেন কাজের খোঁজে বা আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু এসে আর ফিরে যান না। এদেশেই জাঁকিয়ে বসে যান। তারপর দালালদের ধরে করে নেন আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড। অবৈধ ভাবে এদেশে এসে এখানেই ঘুরপথে নাগরিকত্ব অর্জন করে বসে থাকেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সীমান্তের একটা বড় জায়গাজুড়ে যাতে তল্লাশি চালিয়ে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রদ করা যায় তার জন্য বিএসএফের আওতাভুক্ত এলাকার সীমা বাড়ানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত এ রাজ্যে টহল দেওয়া, তল্লাশি চালানো ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বিএসএফকে। এরই জেরে এবার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ থেকে ধরা পড়ল ১৮জন বাংলাদেশি।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের কাছে খবর এসেছিল গোপন সূত্রে। সেই খবরের ভিত্তিতেই হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় তৎপর ছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ওপার বাংলা থেকে অবৈধ ভাবে এপার বাংলায় পা রাখতেই ১৮জন বাংলাদেশি পাকড়াও হন বিএসএফ জওয়ানদের হাতে। ওই ১৮জনের মধ্যে ওপার বাংলার এক দালালও রয়েছে যার কাজই হল অবৈধ ভাবে এই মানুষ পাচার করা। এদিন সকালেই এই ১৮জন বাংলাদেশিকে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ এদের এদিনই বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দালাল বাদে বাকি ১৭জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন গত কয়েকবছর ধরেই এদেশেই থাকে। তাঁরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে গিয়েছিল। ফেরার সময় অবৈধভাবে এদেশে পা রাখতেই গ্রেফতার হয়েছে। বাকিরা অবশ্য এদেশে প্রথমবার আসছে আর সেটা কাজের সন্ধানেই।