নিজস্ব প্রতিনিধি: কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ট্যুইট করে বাংলার মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। সেই অভিনন্দনের নেপথ্যে ছিল বাংলা সহায়তা কেন্দ্র বা BSK যা রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের মধ্যে পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছিল। সেই ট্যুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র যুগান্তকারী সাফল্য পেয়েছে। রাজ্য সরকারের এই সহায়তা কেন্দ্র থেকে মোট ১০ কোটি মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। তৃণমূল স্তরের মানুষকে সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা দিতে রাজ্য সরকারের যে প্রচেষ্টা, এটা তারই ফলাফল।’ এবার নিঃশব্দে আরও এক নজীর গড়ে দিতে চলেছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। এক বছরের কম সময়েই BSK’র মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার E-Transaction’র নজীর গড়ে দিতে চলেছে বাংলা(Bengal)।
আরও পড়ুন ৪৫জন প্রবাসী বাঙালিকে দেওয়া হল ‘আপন বাংলা’ কার্ড
গ্রামাঞ্চলে সকলের হাতে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ নেই। ইন্টারনেট সংযোগও নেই। অথচ, এখন বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন অনলাইনে করতে হয়। বিভিন্ন দফরের ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্যও থাকে। মূলত তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করেন। সরকারের নিজস্ব প্রকল্প এবং পরিষেবাগুলির নিবিড় প্রচার আরও সহজে করতেও এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি কাজ করে চলেছে। সরকারি পরিষেবাগুলি দ্রুত মানুষকে পৌঁছনোর লক্ষ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্য পরিষেবা দেওয়া হয়। রাজ্যের সমস্ত মানুষ যাতে কোনওরকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন সেই উদ্দেশ্যে জেলায় জেলায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে খুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গ্রামে গঞ্জে প্রত্যন্ত এলাকায় একাধিক মানুষ সরকারি নানা প্রকল্পের থেকে বঞ্চিত না হয়ে পড়েন, সেদিকে নজর দিতেই রয়েছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। সেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রই এবার নজীর গড়ে দিতে চলেছে E-Transaction’র ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন দেশের প্রথম Sleeper Coach Vande Bharat Express চলবে বাংলা থেকে
জানা গিয়েছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যুতের বিল জমা, খাজনা, মিউটেশন ফি, মোটর ভেহিকলস আইনের অধীনে জরিমানা জমা নেওয়ার পরিষেবা চালু হয় বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে। মাত্র ১০ মাসেই প্রায় ৯২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আরও ১৫ দিনে এই লেনদেন ১০০ কোটি ছাড়াবে বলেই আশাবাদী আধিকারিকরা। এই সময়ে একদিনে সর্বোচ্চ ১.১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে এখন আধার পরিষেবার সুযোগও মিলছে। রাজ্যের প্রায় এক হাজার বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে এই সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যে ৩ হাজারের কিছু বেশি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। এখন প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে।