নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকনাথ অটোমোবাইলসের অংশীদার অরূপরতন ভট্টাচার্য সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নামে। টাকা দিয়ে তবে সরকারি কাজের বরাত পাওয়া যেত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এবার খোদ অরূপরতন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে উঠে এলো ভুরি ভুরি অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নকল চালানের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি সেই অভিযোগের জেরে লোকনাথ অটোমোবাইলসের তিলপাড়া ব্যারেজ সংস্কারের বরাত বাতিল করে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।
অরূপরতন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নকল চালানের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে বালি পাচার করেছিলেন তিনি। আর তার জেরে লোকনাথ অটোমোবাইলসের তিলপাড়া ব্যারেজ সংস্কারের বরাত বাতিল করে দেওয়া হয়। এমনকি ভূমি দফতর ‘লোকনাথ অটোমোবাইলস’-এর চালান সমেত বালি ভরতি লরি আটক করে। বিষয়টি নিয়ে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় বীরভূমের মহম্মদবাজার থানায়। এরপর বালি বোঝাই লরি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে সেই সময় ওই সংস্থার পাওয়া তিলপাড়া ব্যারেজ সংস্কারের বরাত বাতিল করেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
যদিও অরূপরতন ভট্টাচার্য দাবি করেন, সেই ঘটনায় তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে মহম্মদবাজার থানার পক্ষ থেকে। প্রসাসনের তরফে সেই অভিযোগের তদন্ত করে তাদের ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া হয় বলে দাবি তাঁর। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে তৎকালীন জেলাশাসক তাদের বিরুদ্ধে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও করে নেন। অরূপরতন দাবি করেন, কেন তাঁদেরকে বরাত দিয়ে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, সেই বিষয়টি নিয়ে গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।