এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার সিবিআই রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বুকে বাম জমানার একদম শেষ দিকে জঙ্গলমহলের বুকে ঘটে গিয়েছিল এক বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা। সেই দুর্ঘটনা ঘিরে একদিকে যেমন নাশকতার অভিযোগ উঠে এসেছিল, তেমনি অন্যদিকে উঠে এসেছিল মাওবাদীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও। ২০১০ সালের ২৭ মে গভীর রাতে আজকের ঝাড়গ্রাম ও তদানীন্তন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সরডিহা স্টেশনের কাছে রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস(Gyaneshwari Accident)। ঠিক ওই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির। মৃত্যু হয় জ্ঞানেশ্বরীর ১৪৮ জন যাত্রীর। ১৭০ জন যাত্রী আহত হন। উল্টো দিকের মালগাড়ির চালকও নিহত হন। যদিও বেসরকারি মতে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। কেননা এখনও ৩০-৩৫জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন সেই দুর্ঘটনার পর থেকে। প্রায় একযুগ অর্থাৎ ১২ বছর বাদে সেই দুর্ঘটনারই তদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। আর তাও সেই রিপোর্ট চাওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের(CBI) কাছ থেকে।

জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার তদন্তের দায়ভার গিয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে। আর সেই তদন্তে উঠে আসে এই দুর্ঘটনা আসলে মাওবাদীদের(Maosit) ঘটনানো। মাওবাদীদের মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটির লোকজন আপ লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দেওয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। যদিও তাঁদের লক্ষ্য ছিল মালগাড়ি লাইনচ্যুত করার, যাত্রীবাহী ট্রেনকে বিপদে ফেলা নয়। কিন্তু যথাযথ তথ্য তাঁদের কাছে না থাকায় সেদিন এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। গোটা ঘটনা ঘটেছিল জনসাধারণের কমিটির মাথা ছত্রধর মাহাতোর(Chatradhar Mahato) দাদা শশধর মাহাতোর(Shashadhar Mahato) নেতৃত্ব। সেই দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৫জন সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এই ৫জন হলেন মন্টু মাহাতো, লক্ষ্মণ মাহাতো, সঞ্জয় মাহাতো, তপন মাহাতো এবং বাবলু মাহাতো। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিন মামলাটি উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে।

এদিন শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী হাই কোর্টে জানান, মূল মামলার বিচার চলছে মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদালতে। চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে এই মামলার শুনানির জন্য নিম্ন আদালতে বিচারক নেই। ফলে বিচারপ্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। তা ছাড়া, এক দশক পরেও ওই ঘটনার সাক্ষ্যগ্রহণ এখনও বাকি রয়েছে। এই অবস্থায় আবেদনকারী ৫জনকে যেন জামিন দেওয়া হয়। এরপরেই আদালত জানায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিবিআই-কে এই তদন্তের গতিপ্রক্রিয়া জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই আদালত এই মামলায় রায় দেবে। কী অবস্থায় রয়েছে তদন্ত, বিচারপ্রক্রিয়া কত দূর এগিয়েছে— এ সব পুঙ্খানুপুঙ্খ জানাতে হবে সেই রিপোর্টে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

মেদিনীপুরের মাটি থেকে ‘গদ্দার’দের তীব্র আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর