নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতের নির্দেশ কাজের বড্ড চাপ বেড়ে গিয়েছে দেশের অন্যতম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI’র আধিকারিকদের। বিশেষ করে বাংলার(Bengal) বুকে একের পর এক মামলায় তদন্তভার এসে পড়ছে তাঁদের ঘাড়ে। এদিকে সেই সব তদন্ত করার মতো লোক থাকলেও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খামতি থেকেই যাচ্ছে। আর তাই এবার রাজ্য পুলিশেরই(West Bengal State Police) দ্বারস্থ হল CBI। কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) তাঁরা জানিয়েছে, একসঙ্গে এত মামলা সামলানোর মতো লোকবল তাদের নেই। তাই রাজ্য পুলিশের থেকে সাহায্য চাই। অন্তত ২জন Sub Inspector বা SI ও ৮জন কনস্টেবল তাঁদের চাই। সিবিআইয়ের সেই আর্জিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে একটি বিশেষ নির্দেশ পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যের বিরোধী দলগুলি প্রায়ই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এখন সেই রাজ্য পুলিশেরই কেন সাহায্য চাইছে CBI?
রাজ্যে বর্তমানে অনেকগুলি মামলার তদন্ত করছে CBI। সারদা, নারদা, কয়লা ও গরু পাচার, শিক্ষক ও পুরকর্মী নিয়োগের মতো মামলাগুলির পাশাপাশি আরও অনেক তদন্তের দায়িত্ব পড়েছে তাদের ওপর। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের শাসকদলের নেতা, বিধায়ক, সাংসদরা। অনেককে ডেকে পাঠিয়ে জেরাও করা হয়েছে। এখন যদি সেই শাসক দলের মুঠোয় থাকা রাজ্য পুলিশের ওপরেই CBI-কে ভরসা করতে হয় তাহলে তো মেনে নিতেই হবে যে রাজ্য পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবেই কাজ করে চলেছে। বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলে চলেছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তা কার্যত অর্থহীন। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে ওই ১০ জনকে সিবিআইকে ডেপুটেশনে দিতে হবে। তাঁদের থাকার ঘর ও যাতায়াতের গাড়ির ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকেই করে দিতে হবে।