এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

প্রাক্তন SUCI বিধায়কের বিরুদ্ধে সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বুকে বাম শাসনের অবসান ঘটাতে একসময় তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছিল বামপন্থী দল SUCI। এখন সেই দলেরই এক প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠেছে সরকারি জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগটা এমন একটা সময় উঠেছে যখন বাংলার(Bengal) ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল(TMC)। যে প্রাক্তন বিধায়কের(Former MLA) বিরুদ্ধে জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তাঁর সঙ্গে অবশ্য তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তাঁর বিধায়ক হওয়ার পিছনে বা জয়ের পিছনেও তৃণমূলের কোনও ভূমিকা ছিল না। কিন্তু যেহেতু একসময় তৃণমূল ও SUCI’র জোট হয়েছিল তাই এখন জমি বিক্রির অভিযোগ রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমত চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। যাকে ঘিরে এই বিতর্ক তিনি হলেন রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার কুলতলি(Kultali) বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন SUCI বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদার(Joykrishna Halder)। কুলতলির লকগেট এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন কেন্দ্র সরকারের সমালোচনায় সরব প্রধানমন্ত্রীর ভাই প্রহ্লাদ মোদি

অভিযোগ উঠেছে, কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক তথা SUCI নেতা জয়কৃষ্ণ হালদারের মদতে সরকারি খালের জায়গা প্লট করে বিক্রি করা হচ্ছে। নিকাশি খালের ওপর চলছে বেআইনি নির্মাণ। সেই অভিযোগের জেরেই কুলতলি ব্লকের বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপা সর্দার সানকিজাহান এলাকায় গিয়ে এই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এই প্রসঙ্গে বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী জানিয়েছেন, জমি মালিকদের কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই জমি তাঁরা কোথা থেকে কিনেছেন, কার কাছ থেকে কিনেছেন, কত টাকায় কিনেছেন সেই সব খতিয়ে দেখা হবে। এই ঘটনায় কুলতলির বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক গণেশ মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘প্রাক্তন বিধায়ক জলনিকাশি খাল প্লট প্লট করে বিক্রি করেছেন। খালে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। জলনিকাশি পথ আটকে গেলে প্রচুর মানুষ জলমগ্ন হয়ে সমস্যায় পড়বেন। পুলিস ও ব্লক প্রশাসনকে বলা হয়েছে বিষয়টি দেখার জন্য। প্রাক্তন বিধায়ক জল নিকাশি পথ বন্ধ করে দিয়ে বেআইনি নির্মাণ করছেন। পুলিস তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।’  

আরও পড়ুন জঙ্গলমহলে নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চলে এলেন তরুণী

যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসূত্র নেই বলে জানিয়েছেন জয়কৃষ্ণ হালদার। তিনি জানিয়েছেন,  ‘১৯৭৮ সালে বিবেকানন্দ সঙ্ঘ ৬ বিঘা জমি পায়। ১৯৮০ সালে এলাকায় লকগেটের প্রয়োজনে সঙ্ঘ সেই জায়গা দিয়েছিল। খালের দু’পাড়েই ক্লাবের জমি। স্কুলের প্রয়োজনে জায়গা বিক্রি করেছে বিবেকানন্দ সঙ্ঘ। এর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।’ ঘটনার জেরে স্থানীয় SUCI নেতৃত্ব জানিয়েছে, যেহেতু সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং কুলতলিতে এখনও SUCI’র নিজস্ব সংগঠন ও ভোট রয়েছে তাই এখন থেকেই মিথ্যা অভিযোগে SUCI’র নেতা ও কর্মীদের জেলে ঢোকাতে ষড়যন্ত্র করছে রাজ্যের শাসক দল। জমি নিয়ে সন্দেহ থাকলে আদালতে মামলা করুক।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

মেদিনীপুরের মাটি থেকে ‘গদ্দার’দের তীব্র আক্রমণ মমতার

‘সাংসদকে সরালেন কেন’ প্রার্থী বদল নিয়ে খোঁচা মমতার

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাইলে বিজেপির ভাণ্ডারকে উপড়ে ফেলতে হবে’, বার্তা মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর