নিজস্ব প্রতিনিধি: আশঙ্কা ও অনুমান আগেই ছিল। সেটাই এবার মিলে গেল। মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার সাগরদিঘী(Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী(INC Candidate) বায়রণ বিশ্বাস(Bairon Bishwas) এদিন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) হাত ধরে জোড়াফুলে যোগ দিলেন। এই ধরনের ঘটনা যে ঘটতে পারে সেটা অবশ্য উপনির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। এদিন কার্যত সেটাই সত্যি হয়ে দাঁড়াল। ধাক্কা খেতে হল কংগ্রেসকে, ধাক্কা খেতে হল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও(Adhir Ranjan Chowdhury)।
সাগরদিঘী উপনির্বাচনে কার্যত অঘোষিত ভাবে জোট হয়েছিল বাম-কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। ৩ দলেরই ভোট জমেছিল কংগ্রেস প্রার্থী বায়রণের স্বপক্ষে। এমনকি তৃণমূলের একাংশের ভোটও পেয়েছিলেন বায়রণ। সেই নির্বাচনে বায়রণের জয় একদিকে যেমন রাজ্যের শাসক দলকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিল তেমনি রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেসকে ফিরিয়েও এনেছিল। কিন্তু এদিন বায়রণ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আবারও রাজ্য বিধানসভা থেকে মুছে গেল কংগ্রেসের উপস্থিতি। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুলে দিল জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও যে এই ভাবে কংগ্রেস ভাঙিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কতখানি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারবে তৃণমূল! অস্বীকার করার উপায় নেই বায়রণের এই দলবদলে ধাক্কা খেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও(Suvendu Adhikari)। কেননা তাঁর উদ্যোগেই বিজেপির(BJP) ভোট সাগরদিঘীর উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর অনুকূলে গিয়েছে, এমন অভিযোগ ভোটের ফল সামনে আসার পরে পরেই উঠতে শুরু করে। এদিন সেই শুভেন্দুকেও প্রশ্নের মুখে পড়ে যেতে হল।
জানা গিয়েছে এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচীতে আসেন বায়রণ। সেখানেই অভিষেকের হাত ধরে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন। কার্যত উপনির্বাচনের জয়ের ৩ মাসের মধ্যে বায়রণের এই ভোলবদল রাজ্য রাজনীতির তৃণমূল বিরোধিদের কাছে নিঃসন্দেহে বড়সড় ধাক্কা। কেননা তাঁরা বায়রণকে উপনির্বাচনে জিতিয়ে ‘সাগরদিঘী মডেল’(Sagardighi Model)-কে সামনে রেখে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন সেই বায়রণই তাঁদের সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিলেন। সেই সঙ্গে বাংলার বুকে গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করলেন। সাগরদিঘীর বুকে উন্নয়নের দরজাও খুলে দিলেন।