নিজস্ব প্রতিনিধি: অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা করেছিলেন চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। তিনি দাবি করেছিলেন, বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর নির্দেশে তিনি গিয়েছিলেন বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতির চিকিৎসা করতে। এই ঘটনা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। কেষ্টর বাড়ি যাওয়া নিয়ে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুপারের দাবি, ওই চিকিৎসককে অনুব্রতের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। তাঁকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তাঁর ইচ্ছা না হলে তিনি না-ও যেতে পারতেন।
মঙ্গলবার চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী অনুব্রতর বাড়িতে তাঁকে চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে চন্দ্রনাথ অধিকারী দাবি করেছিলেন, তাঁকে অনুব্রতের বাড়ি যাওয়ার জন্য হাসপাতালের সুপার চাপ দিয়েছিলেন। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, হাসপাতালের কোনও প্যাডে নয়, তাঁকে সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখতে বলা হয়েছিল সুপারের তরফে। যদিও এই চাপ দেওয়ার প্রসঙ্গটি অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। তাঁর দাবি, ‘আমি ওঁকে অনুরোধ করছিলাম দেখতে যাওয়ার জন্য। যেহেতু চিকিৎসক ছুটিতে ছিলেন তাই তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছিল। ওঁর অনিচ্ছা থাকলে না-ও যেতে পারতেন। কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।’ সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লেখার বিষয়টি বুদ্ধদেব মুর্মু স্বীকার করে নেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু চন্দ্রনাথ ছুটিতে ছিলেন, তাই বাড়িতে গেলে যে ভাবে সাদা কাগজে লিখতে বলা হয় সে ভাবে তাঁকে প্রেসক্রিশন লিখতে বলেছিলাম।’ পাশাপাশি তিনি জানান, সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর নির্দেশেই কেষ্টর বাড়িতে চিকিৎসক পাঠিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর দাবি, ‘অনুব্রতর বাড়ি থেকে ফোন এসেছিল, উনি খুব অসুস্থ। সুপারকে জানিয়েছিলাম, কোনও নির্দেশ দিইনি’ ।