নিজস্ব প্রতিনিধি: আপনি বইপ্রেমী? তবে সাবধান। মহানগরে বই (Book) চাইলেই ফাঁক করে দেওয়া হচ্ছে অ্যাকাউন্ট। অবাক হলেন তো? শুরু হয়েছে অভিনব কায়দায় জালিয়াতি। বইপাড়ার নাম করে অনলাইন প্রতারণা। এভাবেই এক বইপ্রেমীর কাছ থেকে চলে গিয়েছিল প্রায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। তবে পুলিশের তৎপরতায় ফিরল সেই টাকা।
পুলিশ (Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, বই অর্ডার দিয়েছিলেন কলকাতা বিমান বন্দরের এক কর্মী। আর তা পাঠানোর নামে টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল জালিয়াতরা। তবে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বেশ কিছুদিন আগে ছেলের জন্য অনলাইনে বই অর্ডার করেছিলেন বিমান বন্দরের কর্মী। নেটেই খুঁজে পান কলেজস্ট্রিটের একাধিক দোকানের মোবাইল নম্বর। তার মধ্যে একটি নাম্বারে যোগাযোগ করেন তিনি। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বিক্রেতা পরিচয়ে একজন জানান, বই পেতে হলে আগে পুরো টাকা দিতে হবে। আর তা দিতে হবে ওদের ঠিক করে দেওয়া মাধ্যমেই। এরপরে একটি লিংক পাঠানো হয় বিমান বন্দরের কর্মীকে। সেখানেই চাওয়া হয়েছিল ক্রেডিট কার্ডের তথ্য। তিনি তা দিয়েও ফেলেছিলেন। এরপরেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। এরপরেই প্রতারিত ব্যক্তি যোগাযোগ করেন স্থানীয় সাইবার সেলে। দায়ের করেন অভিযোগ। যেই ই- ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছিল সেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর সংস্থার কাছ থেকে ফেরৎ আসে পুরো টাকাটাই। জালিয়েতের হাতে টাকা যাওয়ার আগেই উদ্ধার হয় সমস্ত টাকা।
প্রসঙ্গত, একটি অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটে প্রায় আড়াই লাখ টাকার জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছিল তপসিয়া থানায়। সাউথ ইস্ট ডিভিশনের সাইবার সেল সেই টাকাও উদ্ধার করে তা ফেরৎ দেন অভিযোগকারীকে। আবার বিদ্যুৎ দফতরের নামেও প্রতারণা চক্রের রমরমা চলছে। মেসেজ পাঠিয়ে বলা হচ্ছে, বিল বাকি আছে। অনলাইনে জমা না দিলে রাত ১০ টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হবে। এই সব প্রতারণা আটকাতে তৎপর পুলিশ। অভিযোগ জানালেই মিলছে সুফল। বিশেষ তৎপর হয়েছে সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে সচেতন করা হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের। নিয়মিত ভিডিও করে বিভিন্ন পর্বে তা আপলোড করছেন সিআইডি (CID) ডিআইজি (DIG) কল্যাণ মুখোপাধ্যায়।