এই মুহূর্তে




দক্ষিণ হাওড়ায় বিএলও পরিচয় পত্র দেখাতে না পারায় বিক্ষোভের সম্মুখীন, ঘটনাস্থলে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ হাওড়া:এসআইআর কাজ শুরু হতেই বাধা পেলেন এক বিএলও। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের হাওড়া পুরসভার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪ নম্বর বুথে। বাগনান খালোড় কবিগুরু শিক্ষায়তনের শিক্ষিকা অনুপমা দাস(Anupama Das) উনসানি গড়পায় বিএলও(BLO) হিসাবে বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম বিলির কাজ শুরু করেন। কয়েকটি বাড়িতে ফর্ম দেওয়ার পর বেশ কিছু বাড়ির লোক তার কাছে নির্বাচন কমিশনের পরিচয় পত্র দেখতে চান। অনুপমা দাস জানিয়েছেন, যেহেতু সোমবার পর্যন্ত ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরের অফিস থেকে তাদের কোন পরিচয়পত্র দেওয়া হয়নি সেই কারণে তার পক্ষে তা দেখানো সম্ভব হচ্ছে না। আর এতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ জাগে। তাকে ঘিরে শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। ওই শিক্ষিকা মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে(What’s App) কমিশনের দেওয়া চিঠি এবং অন্যান্য কাগজপত্র তাদের দেখালেও অনেকেই তা বিশ্বাস করেনি বলে অভিযোগ। এই নিয়ে বচসা শুরু হতেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জগাছা থানার(Jagacha P.S.) পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই শিক্ষিকা জানিয়েছেন প্রথমে রাজি না হলেও পরে চাপে তিনি এই কাজ করতে রাজি হয়েছেন।এদিকে,প্রথম থেকে বিএলওদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার এসআইআর-র মূল পর্বের কাজ শুরুর প্রথম দিনেই শুরু সমস্যা। রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিএলওদের। কখনও সঠিক এনামুরেশন ফর্ম না পাওয়া, কখনও পরিচয়পত্র না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন বিএলও’রা। ফলে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।মঙ্গলবার থেকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এসআইআর-র কাজ সারছেন বিএলওরা। ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে এনামুরেশন ফর্ম দিয়ে, সবকিছু ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কেউ বুঝতে না পারলে ফর্ম ফিলআপ করতে সাহায্য করা হচ্ছে।

কিন্তু তারপরেও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। হাওড়ার জগাছায় বিএলওকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিএলওর কাছে আইডি না থাকায় বিএলওকে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বলা হয়েছে, নিরাব্চন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি কিউআর কোড সহ কার্ড দেওয়া হবে। সেই কার্ড দেখেই ফর্ম ফিলআপ করা হবে। কিন্তু এখনও সব বিএলওরা সেই আইডি পাননি। ফলে কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। এদিন হাওড়ার জগাছায় কাজ করতে গিয়ে বাধা পান তাঁরা। তারপর পুলিশের কাছে গেলে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

অন্যদিকে, গাইঘাটায় বিএলওদের স্কুলে তালাবন্ধ করে রাখার অভিযোগ। পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় অভিভাবকরা। গাইঘাটা চন্ডীগড় স্পেশাল ক্যাডার এফ পি বিদ্যালয়ে স্কুলের তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। এরা ৩জনেই বিএলও-র দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁরা বিএলও-র কাজ করলে ছাত্রদের ভবিষ্যত সমস্যায় পড়বে। তাই মঙ্গলবার সকালে তাঁরা স্কুলে আসতেই তালা বন্ধ করে রাখা হয়। এরপর ঘটনাস্থলে আসে গাইঘাটা থানার পুলিশ ও জয়েন্ট বিডিও। তাঁরা গিয়ে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করলে তালা খুলে দেওয়া হয়। ধুপগুড়ি-কালচিনিতে ফর্ম বিভ্রাটের জেরে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক ফর্ম না পেয়ে বিক্ষোভ দেখান বিএলওরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মমতার এসআইআর ফর্ম নেওয়া নিয়ে ‘ভুয়ো খবর’ ছড়ানোর পিছনে বড় ষড়যন্ত্র!

পাখির চোখ বিধানসভা ভোট, ৭ পুরসভায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে রদবদল

তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে বসে ফর্ম বিলি করছেন BLO, চাঞ্চল্য চাঁচলে

সরকারি স্কুলে প্রার্থনা সভায় গাইতে হবে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’, বিজ্ঞপ্তি জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহার থেকে কামারহাটি ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’র ডাক বামেদের

বিলাসবহুল জীবন যাপনের জন্য একের পর এক চুরি, চুঁচুড়া থেকে গ্রেফতার ২ অভিযুক্ত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ