এই মুহূর্তে




১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবাস উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই শুরু

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র সরকার(Modi Government) প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার(PMGAY) বকেয়া টাকা না দিলে বাংলার গরিব মানুষকে বাড়ি তৈরির টাকা যে রাজ্য সরকারই দেবে তা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই সময়সীমার বাকি আর মাত্র আড়াই মাস। কেন্দ্র সরকার যে আবাসের বকেয়া টাকা দেবে না সেটা ধরে নিয়ে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়তে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবাসের জন্য নাম নথিভুক্ত করানো উপভোক্তাদের(Housing Project Consumers) বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাইয়ের(Door-to-Door Verification) কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। সেই যাচাইয়ের কাজ হবে Permanent Waiting List বা PWL ধরে। এর আগে রাজ্যজুড়ে যাচাই পর্ব চালানো হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় বছর। এই সময়কালে অনেকেই বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন বা মারা গিয়েছেন বা অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সেই কারণে ফের একবার নতুন করে ন্যায্য উপভোক্তা যাচাইয়ের প্রয়োজন বলে মত প্রশাসনিক কর্তাদের।

আরও পড়ুন, ‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

কেন্দ্রের কাছ থেকে বাংলার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রাপ্য রয়ে গিয়েছে। কিন্তু বহু চিঠি দিয়েও সেই টাকা রাজ্য প্রশাসন কেন্দ্রের কাছ থেকে আদায় করতে পারেনি। তবে কেন্দ্রের এই অসহযোগিতার মনোভাবের জন্য বাংলার মানুষজন যাতে বঞ্চিত না থেকে যান তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনায় টাকা না দিলেও বাংলার আবাস উপভোক্তারা সেই টাকা পাবেন। রাজ্য সরকারই সেই টাকা দেবে। এর আগে কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা না দিলেও সেই টাকা রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দিয়েছে। এবার আবাসের টাকাও মেটানোর কাজ শুরু করতে চলেছে নবান্ন। এই বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকদের দাবি, কেন্দ্র টাকা দিক বা না দিক, গরিব মানুষের বাড়ি তৈরি হবেই। সমীক্ষার পরেই মোট উপভোক্তা সংখ্যাটা বোঝা যাবে। ২০২২ সালে ঝাড়াই বাছাইয়ের পর আবাসের চূড়ান্ত উপভোক্তা তালিকায় রয়েছে প্রায় ৩৪ লক্ষ নাম। এর মধ্যে ১৩ লক্ষের কিছু বেশি বাড়ি তৈরির জন্য কেন্দ্র প্রশাসনিক অনুমোদন দিলেও এক টাকাও দেয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে রাজ্য সরকারের টাকায় যে বাড়ি তৈরি হবে সেখানে কেন্দ্রের নয় রাজ্যের ‘বাংলার বাড়ি’(Banglar Bari) ট্যাগ থাকবে।

আরও পড়ুন, রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ছেন জহর, চিঠি তৃণমূল নেত্রীকে

এই আবহেই ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র এই খাতের টাকা না দিলে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারই টাকা পাঠানো শুরু করবে। শনিবার রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে উপভোক্তা যাচাই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে সাফ হয়েছে, আবাস যোজনার এই যাচাই প্রক্রিয়া নিয়ে শীঘ্রই একটি এসওপি জারি করা হবে। পাশাপাশি, প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন সরকারি কর্মচারীকে যাচাইয়ের দলে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। একেবারে নির্ভুল হতে হবে সমীক্ষার রিপোর্ট। রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয়েছে, শীঘ্রই এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ২০২২ সালের যাচাই পর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এখন থেকেই সমীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে সন্দেহ নেই সব থেকে বেশি চাপে পড়তে চলেছে বিজেপি। কেননা, রাজ্য সরকার টাকা দিয়ে দিলে কেন্দ্র টাকা দিল কী দিল না, সেটার আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না। ফলে প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য বিজেপিকে ভোট দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও থাকবে না।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লক্ষ্মী পুজোয় শব্দ বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ বলে প্রচার শুরু পুলিশের

শিলিগুড়িতে চিকিৎসক ও ঔষধ না পেয়ে ভাঙচুর সুপার অফিস,আটক ৩

ঝাড়গ্রামের ডুলুং নদী থেকে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

সাবধান আর মাত্র ২ ঘণ্টা, ধেয়ে আসছে ব্যাপক বৃষ্টি

ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে নাবালিকার জবানবন্দি দেওয়াতে গিয়ে বিজেপির বিক্ষোভের মুখে পুলিশ

মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের ৬ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন কবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর