নিজস্ব প্রতিনিধি: আবার রক্তক্ষরণ গেরুয়া শিবিরে! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফরকালে বড়সড় ভাঙন পদ্মশিবিরে। বৃহস্পতিবার বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটিতে গণইস্তফার হিড়িক পড়ল। জেলা কমিটির ১৬ জন সদস্য-সহ ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন মণ্ডল, নগর মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ, বুথ স্তরের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদক, প্রায় ১৮ জন পদত্যাগ করতে চেয়ে গণস্বাক্ষর করেছেন। দলের অন্যতম শীর্ষনেতার রাজ্য সফরের দিনে এই পদত্যাগ অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিজেপির।
বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলার নতুন কমিটি অযোগ্য এই অভিযোগ তুলে এদিন পদত্যাগ করেন জেলা কমিটির ১৬ জন সদস্য। একইসঙ্গে দলের একনিষ্ঠ কর্মীদের অসম্মান করা হচ্ছে বলে পদত্যাগকারীরা অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের খাসতালুক ঝাড়গ্রামের পদ্মশিবিরে এমন পদত্যাগের হিড়িকে বেসামাল অবস্থা তৈরী হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। বর্তমান জেলা কমিটিকে অযোগ্য বলে আক্রমণ করে লেখা একটি চিঠি নিয়ে বৃহস্পতিবার জেলার দলীয় কার্যালয়ে যান পদত্যাগকারীরা। কিন্তু পার্টি অফিসে জেলা সভাপতি ছিলেন না। যার ফলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও ফিরে যেতে বাধ্য হন তাঁরা। যদিও ইস্তফাপত্র জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা।
পদত্যাগকারী এক বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর প্রতিহার এই ঘটনা নিয়ে বলেন, “কোনও আলাপ-আলোচনা ছাড়াই আমায় জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এই নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারব না। মামলা-মোকদ্দমায় কর্মীদের এরা সাহায্য করছে না। কোনও রকম কর্মসূচি নিচ্ছে না। সাধারণ কর্মী হিসাবে এলাকায় কাজ করব। কোনও পদে থাকতে চাই না।” তাঁকে বিনপুর মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে বলে জানান চন্দ্রশেখরবাবু। পাশাপাশি পূর্ণচন্দ্র মাহাতো যিনি শালবনির মণ্ডল সভাপতি ছিলেন তাঁকেও জেলা কমিটিতে আনা হয়েছে। কর্মীদের সঙ্গে জেলা কমিটির কোনও যোগাযোগ নেই বলে অভিযোগ তাঁর। জেলা কমিটি কর্মীদের কোনও সম্মান জানায় না বলে অভিযোগ পূর্ণচন্দ্রের।