নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কেরামত আলির নতুন কেরামতি ফাঁস। সোমবার(২৮অগস্ট) থেকেই দত্তপুকুরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। অভিযানে নেমেই মঙ্গলবার কেরামত আলির আরও একটি গোডাউনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এমনকি ১২,৯৪০ কেজির মতো নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় বাসিন্দা শেখ কুতুবুদ্দিনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বাজি তৈরির সামগ্রী মজুত করে রাখত। মঙ্গলবার সকালেই পুলিশ সেই গোডাউনের হদিশ পায়। মাছ ও মুরগির খাবারের বস্তার ভেতরে বাজি তৈরির পণ্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়়াও এদিন বিস্ফোরণস্থলের পাশে দুটি বাড়ি ও একটি গোডাউনের হদিশ মেলে। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় ১২,৯৪০ কেজি বাজি। তারপরেই বাজেয়াপ্ত করা হয় বাজিগুলি। পাশাপাশি তিনটি মামলার রুজু করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।
দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে রমরমিয়ে চলত কেরামত আলির বেআইনি বাজি কারবার। বিস্ফোরণস্থলের কয়েকশো মিটার দূরে মজুত করা রয়েছে বাজি ও রাসায়নিক। ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেরামত ও তার ছেলে-সহ ৯ জনের মৃত্যুর ২ দিন পর মোচপোল গ্রামে ফের বাজির পাহাড়ের খোঁজ। রবিবার(২৭ অগস্ট) উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে। ছিন্নভিন্ন অবস্থায় ছড়িয়ে রয়েছে মানুষের দেহ। বেআইনি বাজি কারখানায় এই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিকভাবে, বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ১০।