নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ সাড়ে ১৯ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়ি থেকে বের হন ইডি আধিকারিকরা। রাত দেড়টার সময় বের হন তাঁরা। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে বলে দাবি খাদ্যমন্ত্রীর।
রথীন ঘোষ বলেন, ‘আমাকে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। পৌরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র দেখে আমাদের ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছে। এগুলো সব নাটক করার জন্যই। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমি যেহেতু মধ্যমগ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিল সেই কারণে এখানে আসা। এর আগে তারা আমাদের চিঠি দিয়েছিল তারা জানতে চেয়েছিল নিয়োগ পদ্ধতিটা কি রকম ছিল। আমি তাদের কিছু আইনের ধারা বোঝালাম দেখালাম, এই সম্পর্কিত কিছু বইও তাদের হাতে তুলে দিয়েছি’।
পাশাপাশি তিনি বলেন, “এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। আমি মন্ত্রী, আমার বাড়িতে ইডি এসেছে শুনলে মানুষের মনে ধারণা হবে আমি হয়তো কিছু করেছি। আমার কাছে যা জানতে চেয়েছে, আমি বলেছি। ওনারা খালি হাতেই ফিরে গিয়েছেন। ওরা যা যা চেয়েছে আমি সেই ভাবেই সাহায্য করেছি”।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার একসঙ্গে ১৪টি জায়গায় হানা দেয় ইডি। শুধু রথীন ঘোষের বাড়ি নয়। কামারহাটি পুরসভার তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহার অমৃতনগরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। পাশাপাশি বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে।টিটাগড়ের ১২ বছরের পুর চেয়ারপার্সন প্রশান্ত চৌধুরীর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। মূলত যে পুরসভাগুলিতে কুন্তল ঘোষের এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে সেই পুরসভার আধিকারিকদের বাড়িতেই তল্লাশি। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেআইনি ভাবে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তথ্যের খোঁজে এই অভিযান।