নিজস্ব প্রতিনিধি: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার তদন্তে নামছে ইডি। অভিযোগ, প্রচুর টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এফআইআরের সূত্র ধরেই তদন্তে নামছে ইডি। শুধু তাই নয় তার আগে এফআইআর দায়ের করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির অনুমান নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে। সিবিআইয়ের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করেছে ইডি (ED)।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নির্দেশ এসেছে দিল্লি থেকে। সেই মত আলাদা দল গঠন করেছে ইডি। এই মামলার আর্থিক লেনদেন বিষয়ে তদন্ত করতে তৎপর ইডি। জানা গিয়েছে, তৎকালীন উপদেষ্টা কমিটির প্রত্যেকের সম্পত্তির পরিমাণ ও আর্থিক লেনদেনের বিষয় খতিয়ে দেখবে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রসঙ্গত, এসএসসি গ্রুপ সি ও ডিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এবং নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক- শিক্ষিকা নিয়োগে দুর্নীতির মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেন কলকাতা হাই কোর্টের (kolkata High Court) সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির তদন্তে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে জেরা করতে পারবে সিবিআই। প্রয়োজনে গ্রেফতার করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে রায় দেন, উডবার্নে ভর্তি হওয়া যাবে না। সেইদিনই সিবিআই তলব করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে। এরপরে সিঙ্গেল বেঞ্চকে চ্যালঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় তখনও ওয়েবসাইটে আপলোড হয়নি বলে এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয় পরবর্তী শুনানি বুধবার সকাল সাড়ে দশটায়। এরপর বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বড়সড় স্বস্তি পান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী ৪ সপ্তাহ তাঁকে জেরা করতে পারবে না সিবিআই (CBI)। এমনই নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী চার সপ্তাহ সিবিআই তাঁকে তলব বা জেরা করতে পারবে না কোনও মতেই। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৩ মে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারেই ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল এসএসসি সংক্রান্ত কোনও মামলায় একদিন রায় দিতে পারবে না ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন সেই স্থগিতাদেশ বেড়ে হল ১ মাস। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আপাতত কোনও রায় দিতে পারবে না সিঙ্গেল বেঞ্চ। ডাকতে পারবে না সিবিআই-ও। বুধবার আদালতে দুই পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে বাধে বচসা। তা থেকে ছড়ায় তুমুল উত্তেজনা। আর তার আগেরদিন হাতাহাতিতে আদালত চত্ত্বরে জড়িয়েছিলেন দুই পক্ষের আইনজীবীরা।