নিজস্ব প্রতিনিধি: এক মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংস ভাবে কোপানোর অভিযোগ উঠল প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায়। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুতর জখম ওই মহিলার নাম সিমি খাতুন। ২৮ বছর বয়স তাঁর। মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ছোট মন্ডা এলাকার বাসিন্দা সিমি। বুধবার ছোট মন্ডায় চাঁইপাড়াতে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা জমা দিয়ে ফেরার পথে আচমকাই সিমির প্রাক্তন স্বামী জাহাঙ্গীর সেখ তাঁর পথ আটকায়। তারপরেই সিমিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে জাহাঙ্গীর। এর ফলে দু’জনের বাদানুবাদ হয়। এর পরেই ওই মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে জাহাঙ্গীর। সিমির সঙ্গে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা জমা দিয়ে ফিরছিলেন আরও এক পড়শী মহিলা। তিনি জাহাঙ্গীরকে বাধা দিতে গেলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীর কোপায় বলে অভিযোগ। তার পায়ে একটি কোপ লাগে, ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। পথচারীরা এই ঘটনা দেখে চিৎকার করতে শুরু করে। এর পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজন। লোকজনকে দেখেই দৌড়ে পালায় জাহাঙ্গীর। পরে স্থানীয়দের তৎপরতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিমি খাতুনকে বেদরাবাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পরে সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সিমি খাতুনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ বছর আগে সিমি খাতুন এবং জাহাঙ্গীরের বিয়ে হয়। অভিযোগ, প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরতো জাহাঙ্গীর। বাড়ি ফিরে স্ত্রী সিমির ওপর অত্যাচার চালাত। এর ফলে অশান্তি লেগেই থাকত সবসময়। এদিকে সিমির সন্তান না হওয়ায় কুকথা শোনাতো জাহাঙ্গীরের পরিবারের লোকেরা। ছয় মাস আগে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় সিমির। এর পর বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করে সিমি। কিন্তু তারপরও জাহাঙ্গীর নানাভাবে তাকে হয়রানি করত বলে অভিযোগ। ঘটনা নিয়ে বৈষ্ণবনগর থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।