নিজস্ব প্রতিনিধি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবারও বীরভূম সফরে গিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (FIRHAD HAKIM)। সভা থেকে তিনি আক্রমণ করলেন বিজেপি ও বিজেপি শাসিত কেন্দ্রকে। তাঁর অভিযোগ, টাকা এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে সাঁড়াশি আক্রমণ করা হচ্ছে। এদিন তিনি বলেন, ‘দরকারে আমাকে মারো কিন্তু গরীবদের মেরো না’। বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের সঙ্গে উন্নয়নে টিকতে না পেরে মারধর ও অশান্তি করছে বিজেপি।
মঙ্গলবার মাড়গ্রামের হাতিবাঁধ মোড় থেকে তিনি বলেন, টাকা এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হামলা হলেও মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে। তাই সুবুজ শিবিরকে আটকানো সম্ভব নয়। বলেন, শেষ কথা সন্ত্রাস বলবে না, বলবে উন্নয়ন। আরও বলেন, হিজাব-সিঁদুর, তিলকধারী-টুপি একসঙ্গে বসবে। বোমা-গুলি বরদাস্ত করা হবে না। এরপরেই ববি হাকিমের দাবি, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের এই লড়াই আসলে সন্ত্রাস-বিভাজনের রাজনীতির সঙ্গে শান্তি- সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার।
তিনি বলেন, কটাক্ষ করে অমিত শাহকে ‘মোটা’ বলে উল্লেখ করে ফিরহাদ বলেন, মোটা মানুষ সিউড়িতে এসে বলেছিলেন লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসন পাবে বিজেপি। বুদ্ধবাবুরাও বলেছিলেন, ‘তোমরা ৩০, আমরা ২৩৫’। সেই বাম ফিনিশ হয়েছে। বিজেপিও শূন্য হবে।
তাঁর অভিযোগ, বিজেপি-কংগ্রেস সেটিং চলছে। এদিন এই ইস্যুতে তিনি বলেন, মানুষকে কিছুদিনের জন্য বোকা বানানো যায়। তবে সব দিনের জন্য নয়। বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি ২ তৃণমূলকর্মীকে খুন করা হয়েছে বোমা মেরে। মৃতদের ‘শহিদ’ বলে দাবি করে ফিরহাদ বলেন, শহিদ পরিবারের পাশে আছেন তিনি। বলেন, এই হত্যা কাণ্ডে ১২ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সবাইকে ধরতে হবে। বলেন, ‘তৃণমূল কর্মীদের প্রাণ মগের মুলুক নয়’। মৃতদের পরিবারকে আইনি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। সাম্প্রতিক অশান্তি প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, অমিত শাহ ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনেছিলেন। অপারেশনের পর তাদের ঝাড়খণ্ডে পালাতে বলেছিলেন।