নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশিষ্ট পরিবেশবিদ তপন দত্ত(Tapan Dutta) ২০১১ সালের ৬ মে বালি লেবেল ক্রশিংয়ে খুন হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় রাজ্য সরকারের তরফে আগেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ৫জনকে গ্রেফতার করে ও ৭জনের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছিল হাওড়া নিম্ন আদালতে। সিআইডি অবশ্য আদালতে প্রথম যে চার্জশিট জমা দেয় তাতে ১৬জনের নাম ছিল বলে দাবি করেছেন তপনবাবুর স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। যদিও সিআইডি’র দ্বিতীয় চার্জশিটে ৯জনের নাম বাদ যায়। বৃহস্পতিবার সেই খুনের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) সিবিআই(CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা ওই নির্দেশ দিয়েছেন। সেই ঘটনা নিয়েই এদিন মুখ খুলেছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহণ, পুর ও নগরোন্নয়ন এবং আবাসন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘বিচার ব্যবস্থা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু মানুষকে বিচারের ওপরেই নির্ভরশীল থাকতে হবে। একটি সংস্থা তদন্ত করছিল। সিআইডি করছিল। ফের একটা সংস্থা তদন্ত করবে। এতে তদন্তের অসুবিধা হয়।’
ভবানীপুরে শাহ দম্পতি খুনের(Bhawanipur Murder) ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানিয়েছেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম কলকাতা পুলিশ বেস্ট। আমি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করেছিলাম। কেসের কিনারা করে দেখাল পুলিশ। দ্রুততার সঙ্গেই তা করেছে।’ একই সঙ্গে মেট্রো রেলের কাজের জন্য শহরে জল জমার প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘মেট্রোর কাজের জন্য জল জমলে শহরবাসীকে আমাকে জবাব দিতে হয়। মেট্রো রেল তো একের পর এক দিন পেরিয়ে চলেছে। এবার যদি ১৫ তারিখের মধ্যে কাজ করে দেয়। আমি সব খালের ছবি আনিয়ে রেখেছি। তারক সিং আমাকে রিপোর্ট দেবে৷ আমি আবার মেট্রোকে নিয়ে মিটিংয়ে বসব।’ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার অনুমতি না দেওয়া ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে ওই একই ধরনের সম্মেলনে কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানিয়েছেন, ‘বিজেপি যাদের ভয় পায়, তাদের অনুমতি দেয় না। আমার নবীন পট্টনায়ককে নিয়ে বলার কিছু নেই৷ কিন্তু ওরা মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ভয় পায়। উনি গেলে দেশের নামই উজ্জ্বল হতো।’
