নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায়(Bengal) হাজির আরও একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল(Central Delegate Team)। ২ দিনের ঝটিকা সফরে হাজির হয়েছেন ৫ সদস্যের এই দলটি। মূলত রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর(Health Infrastructure) কাজ দেখবেন তাঁরা। মানে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলার হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন হয়েছে কিনা, মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকঠাক পাচ্ছেন কিনা, সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা কী এবং সর্বোপরি বাংলায় আয়ুষ চিকিৎসার হালহকিকত খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। পাঁচ জনের ওই দলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের(Ayush Ministry) ডিরেক্টর বিক্রম সিং, জয়েন্ট ডিরেক্টর রাহুল শর্মা-সহ পাঁচ পদস্থ কর্তা। কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রকের পাঠানো এই কেন্দ্রীয় দল এদিন ও আগামিকাল রাজ্যে থাকছে। দিল্লিতে ফিরে গিয়ে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। ৪৮ ঘণ্টার এই সফরে তাঁরা রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম ও রাজ্যে আয়ুষের ডিজি-র সঙ্গেও বৈঠক করবেন। সেই সঙ্গে কোনও জেলাতেও যেতে পারেন তাঁরা।
আরও পড়ুন মোদির নয়া চমক, Mini Vande Bharat, বাংলায় ৫টি
হুট করে এই Surprise Visit-এ এল কেন কেন্দ্রের এই প্রতিনিধি দল? পরিকাঠামো থেকে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এই রাজ্যের আয়ুষ চিকিৎসকদের একাংশ অসন্তুষ্ট। এই চিকিৎসকদের দলে আছেন আয়ুর্বেদ, ইউনানি, যোগা, হোমিয়োপ্যাথ, সিদ্ধা’র চিকিৎসকেরা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, কোভিডের সময়ে আয়ুষের চিকিৎসায় মানুষ উপকার পেয়েছেন। প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্র আয়ুর্বেদ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎসাহও বাড়ছে। কিন্তু এই রাজ্যে আয়ুষ নিয়ে ততটা প্রচার নেই। অথচ তার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রকের তথ্য বলছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যে আয়ুষের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৪ কোটি টাকা। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় আয়ুষ মিশনের তরফে সেই বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। কেন্দ্র ও রাজ্যের ৬০:৪০ অনুপাতে ওই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৯৮ কোটি টাকা কেন্দ্রের তরফে এসেছিল। রাজ্য দিয়েছে ৪২ কোটি টাকা। যদিও খরচ না-হওয়ার কারণে কেন্দ্রের ভাগের ৯ কোটি টাকা ২০২০ সালে ফেরত চলে যায়। এর পর আর খুব বেশি টাকা এই খাতে বরাদ্দ হয়নি।
আরও পড়ুন কলকাতা বিমানবন্দরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, ধৃত ২
যদিও নবান্নের(Nabanna) দাবি, বরাদ্দ অনুযায়ীই পরিকাঠামোর উন্নতি করা হচ্ছে। সরকারি স্তরে আয়ুষ চিকিৎসা পরিষেবাও অতীতের তুলনায় ভালো হয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আয়ুষ বিভাগের বোঝাপড়া রেখে যাতে উন্নয়ন করা যায়, সেই বিষয়ে কেন্দ্রের পাঁচ সদস্যের দলটির সঙ্গে স্বাস্থ্যসচিবের আলোচনা হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya) এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘ওরা বার বার টিম পাঠাচ্ছে, পাঠাক। মাঝেমধ্যেই আসে। তাতে কী হয়েছে? আমাদের সব কিছুতেই স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করা হয়। ওনারা যা যা দেখতে চাইবেন তা ওনাদের দেখানো হবে। যেখানে যেখানে যেতে চান সেখানে সেখানে যেতে পারবেন। ঘুরে দখুক না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলাকে। শীতকালে অনেকেই পিকনিক করতে আসে। অসুবিধা কোথায়!’