-273ºc,
Saturday, 3rd June, 2023 3:48 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: মালদা জেলার(Malda District) সদর শহর হল ইংরেজবাজার(Englishbazaar)। অনেকেই এই শহরকে Malda Town বলেও চেনেন। যদিও বাস্তবটা হচ্ছে এই শহরে যে রেল স্টেশন রয়েছে তার নাম Malda Town। শহর, থানা, ব্লক, মহকুমা সর্বত্রই সরকারি নাম ইংরেজবাজার। এহেন শহরের দু’দিক ঘিরে রয়েছে মহানন্দা নদী(Mahananda River)। প্রতিবছরই বর্ষের সময় মহানন্দা নদী দুকূল ছাপিয়ে বয়ে যায়। শহরের অনেকেই নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করেন। আবার নদীগর্ভেও অনেকে জবরদখল করে থাকেন। ফলে জলস্তর বাড়লেই সেই সব এলাকার বাসিন্দারা জলমগ্ন হয়ে পড়েন। তখন তাঁদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার কেউ কেউ আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে সাময়িক আশ্রয় নেন। তবে যাঁদের যাওয়ার কোনও জায়গা নেই, তাঁরা পুরসভার অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন। কিন্তু এতদিন এই শহরে কোনও পাকাপোক্ত Flood Center ছিল না। কিন্তু আগামী মাসে মালদা জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। গাজোলে তিনি করবেন প্রশাসনিক সভা। সেই সভা থেকেই তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ইংরেজবাজার শহরের বুকে একটি Flood Center গড়ার জন্য শিলান্যাস সাধন করবেন। ৬১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সেই Flood Center তৈরি করা হবে।
জানা গিয়েছে, বর্ষাকালে মহানন্দা নদীর জল দুই কূল ছাপিয়ে বইতে শুরু করলে বন্যাদুর্গত মানুষদের আশ্রয় দিতে স্থানীয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ শহরে থাকা নানা স্কুল, ক্লাব সহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলে। বাঁধ রোডের পাশের ফাঁকা জায়গায় বাঁশ, বাতা, ত্রিপল দিয়ে চালাঘর তৈরি করে ত্রিপলের ছাউনি দেওয়া অস্থায়ী ঘরও তৈরি করা হয়। সেখানে দুর্গতরা ঠাঁই পেয়ে থাকেন। ইংলিশবাজার পুরসভা এবং শহরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে তখন দুর্গতদের খাবারদাবার পরিবেশন করা হয়। তা দুর্গতরা খেয়ে থাকেন। চাল, ডাল, পোশাকও দেওয়া হয়। কিন্তু এই ব্যবস্থা যে স্থায়ী সমাধান নয় সেটা জেলা প্রশাসন চিহ্নিত করেছিল আগেই। সেই সূত্রেই শহরের পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি পাকাপোক্ত Flood Center তৈরি করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। আগামী মাসে মালদা জেলা সফরে গিয়ে গাজোলের প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সেই Flood Center এর শিলান্যাস সাধন করবেন। শহরের বুকে যে যুব আবাস সংলগ্ন ময়দান রয়েছে সেখানেই ৬১ লক্ষ টাকা ব্যয় করে তিন তলা Flood Center তৈরি করা হবে। বাঁধ রোডের পাশেই তা গড়ে তোলা হবে। ওই Flood Center -এ ১০০টি পরিবার থাকতে পারবে।