24ºc, Haze
Thursday, 23rd March, 2023 3:55 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: মোবাইল, ইন্টারনেটের যুগেও ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বুলবুল পাখির লড়াই আজও হারিয়ে যায়নি। এখনো চলে আসছে সেই লড়াই। বিরল এই পাখি লড়াই ঘিরে উন্মাদনা এখনো কমেনি।লড়াইকে ঘিরে কমেনি জঙ্গলমহলের (Jangalmahal) বৈষ্ণবতীর্থ ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুরের আমজনতার লোকাচার ও লোকবিশ্বাস। উনিশ শতকের শহর কলকাতায় বুলবুল পাখির লড়াই দেখতে ছাতুবাবুর মাঠ না হলে দয়াল মিত্তির বাগান বাড়িতে জুড়ি গাড়ি চড়ে সেকালের বাবুরা আসতেন। সেই বাবু কালচার কালের নিয়মে হারিয়ে গেছে। কিন্তু এ রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত বাংলার গোপীবল্লভপুরে পৌষ সংক্রান্তির দুপুরে এখনো বছরের একটা দিন বুলবুল পাখির লড়াই আজও হয় ।
ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের (Gopiballavpur) গোস্বামীদের রাধাগোবিন্দ মন্দিরের কাছে চাঁদোয়া টাঙ্গিয়ে হয় পাখি যুদ্ধ।সম্মুখ সমরে থাকার সময় হাউসিদের হাতে ধরা পাকা কলার টুকরো দেখিয়ে রাগানো হয় পাখি দের। সঙ্গে লড়াইয়ের দম বাড়াতে দেওয়া হচ্ছিল আখের রস।এভাবে একে একে পাখি এগিয়ে দিয়ে লড়াই এগিয়ে চলে।এবার শতাধিক পাখি লড়াইয়ের (Birds Fight) মঞ্চে এসেছিল।হেরে যাওয়া বুলবুলের ঝুঁটি কেটে তাদের ছেড়ে দিচ্ছিলেন সেনাপতি।
দুটি দলের হয়ে যাঁরা এই পাখি লড়াই পরিচালনা করেন তাঁদের বলা হয় সেনাপতি। ঝুঁটি কাটার সঙ্গে মানমর্যাদা জড়িয়ে রয়েছে। গোপীবল্লভপুরেও পাখির লড়াই হয় দুটি পাড়া বাজারসাই ও দক্ষিন সাইয়ের মধ্যে। সাই অর্থাৎ পাড়া। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই পাড়ার ব্যাপক উন্মাদনা থাকে। আশেপাশের বহু দূর দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ বছরের এই দিনটিতে জড়ো হয় পাখির লড়াই দেখতে।