নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি হোমে নাবালিকা আবাসিকদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় সমাজ কল্যাণ দফতরের এক আধিকারিক জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। পুরুলিয়ার জুভেনাইল হোমে আবাসিকদের লাগাতার যৌন নির্যাতনের ওই ঘটনায় মঙ্গলবার ওই সরকারি আধিকারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন।
অভিযোগ, পুরুলিয়ার জুভেনাইল হোমে নাবালিকা আবাসিকদের ওপর লাগাতার যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটত। এই ঘটনায় আগেই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন সমাজ কল্যাণ দফতরের ওই আধিকারিক। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট ওই ব্যক্তির জামিন খারিজ করে দেয়। এরপরই মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন জানান অভিযুক্ত। কিন্তু আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আবার। বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে আদালত চত্বর থেকে।
প্রসঙ্গত ওই সরকারি আধিকারিকের নাম, শিশির মাহাতো। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে পুরুলিয়া আনন্দমঠ জুভেনাইল হোমের নাবালিকাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সেই সময় ওই হোমের কয়েকজন আবাসিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যৌন হেনস্থার। নির্যাতিতারা পুরুলিয়া জেলা আদালতে অভিযোগ করে। তাঁরা অভিযোগে জানায়, হোমের আবাসিকদের যৌন নির্যাতন করা হত, আর সেই কাজে মদত যোগাত হোম কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পর সেই সময় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয় গেরুয়া শিবিরের মহিলা সংগঠন। সেই ঘটনার তদন্তে যান পুরুলিয়া জেলা আদালতের এক বিচারক। রিপোর্ট জমা পড়ে তারপর। এরপরই জেলা পুলিশ সুপারকে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরুলিয়া সদর মহিলা থানা ওই হোমের সুপার ও জেলার সমাজ কল্যাণ দফতরের শিশু সুরক্ষা আধিকারিক-সহ দুই অপরিচিত ব্যক্তির নামে এফআইআর করে। এরপর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এর মাঝে মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে বিচারক জামিনের আবেদন মঞ্জুর না করায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ২৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় চলতি বছরের ৭ মে হোমের সুপার সৌমিলি দাস আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন আপাতত।