নিজস্ব প্রতিনিধি: পাহাড়ে রাজনৈতিক অশান্তির মূলোচ্ছেদ করতে আগামী ২৬ জুনই গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনেস্ট্রেশনের (জিটিএ) নির্বাচন করাতে চায় রাজ্য প্রশাসন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ২৬ জুন ভোট করানোর জন্য রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আর ওই প্রস্তাবের পরেই পাহাড়ে ভোটের নির্ঘন্ট তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। শেষ মুহুর্তে কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী ২৬ মে জিটিএ নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোনও আধিকারিকই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি পাহাড় সফরে গিয়ে স্থানীয় দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকেই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বাদে বাকি সব দলই পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে জিটিএ নির্বাচন করানোর দাবি জানান। মুখ্যমন্ত্রী সব দলের প্রতিনিধিদের মিলেমিশে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু পাহাড়ে এই মুহুর্তে ভোট হলে পায়ের তলার জমি ধসে যেতে পারে আশঙ্কা করে স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জিটিএ নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন বিমল গুরুং।
তবে তাঁর সেই আপত্তিতে খুব একটা কর্ণপাত করতে রাজি নন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আমলারা। শনিবারই দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জেলাশাসকদের সঙ্গে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ বৈঠক করেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র দফতরের পদস্থ আধিকারিকরাও। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই পাহাড়ে নির্বিঘ্নে জিটিএ নির্বাচন করার জন্য জেলাশাসকদের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার পরে যাতে রাজনৈতিক অশান্তি না চড়ায় তার জন্য প্রয়োজন হলে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করারও কথা বলেছেন।