নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা ঠেকাতে আগেই হাওড়া পুরনিগম পুর এলাকায় সপ্তাহে একদিন করে বাজার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। নবান্নের তরফে হাওড়া পুরসভা এলাকায় কিছু ওয়ার্ডকে করা হয়েছে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল হাওড়া গ্রামীণ ও সদর এলাকার আরও কিছু এলাকা। বুধবার নবান্নের তরফে হাওড়ায় করোনা ঠেকাতে বাড়ানো হয়েছে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনের এলাকা।
নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া পৌর নিগম এলাকা বাদ দিয়ে গ্রামীণ হাওড়া সহ হাওড়া সদর এলাকার মোট ২৩টি এলাকাকে নতুন করে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সর্বাধিক মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে জেলার জগৎবল্লভপুর, সাঁকরাইল, আমতা ২নং এবং শ্যামপুর ১ নং ব্লকে। জগৎবল্লভপুর ও আমতা ২ নং ব্লকে ৬টি করে মোট ১২টি, সাঁকরাইল ও শ্যামপুর ১ নং ব্লকে ৪টি করে মোট ৮টি এবং বালি জগাছা, পাঁচলা ও শ্যামপুর ২ নং ব্লকে ১টি করে মোট ৩টি এলাকাকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার থেকেই মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে বিধিনিষেধ আরোপ শুরু হয়েছে।
দু’দিন আগেই নবান্নের তরফে ঘোষণা করা হয় হাওড়া পুরসভার কিছু ওয়ার্ড মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন। সেই তালিকায় রয়েছে, আন্দুল রোড, হাটপুকুর জিআইপি কলোনি, ব্রজনাথ লাহিড়ী যেন, সার্কুলার রোড ফোর্থ বাই লেন, ডবসন রোড, পিকে রায় চৌধুরী লেন, শরৎ চট্টোপাধ্যায় রোড, শিবপুর রোড, অমৃতলাল মুখার্জি লেন, ধর্মতলা লেন, সাতাশি দক্ষিণ পারা ও দক্ষিণ বাকসারা ভিলেজ রোডের একাংশ নিয়ে হাওড়া পৌর নিগম এলাকায় মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয় নবান্নের তরফ থেকে। এবার গ্রামীণ ও সদরের কিছু এলাকা যোগ করে হাওড়ায় বাড়ানো হল মাইক্রো কনটেইনমেন্টের এলাকা।